বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৬ অপরাহ্ন
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ বছরের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘Step up for Breastfeeding, Education and Support’ অর্থাৎ ‘মাতৃদুগ্ধ পান এগিয়ে নিতে, শিক্ষা ও সহযোগিতা হবে বাড়াতে’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
মায়ের দুধ শিশুর সর্বোত্তম খাবার। মায়ের দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মা ও শিশুর মধ্যে দৃঢ় বর্ন্ধন সৃষ্টি করতে সহায়তা করে। নবজাত শিশুর যথাযথ বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে তাকে জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের শাল দুধ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে এবং ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর হার ৬৫% এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এই হার ৭০% এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মায়েদের উদ্বুদ্ধকরণেও উদ্যোগী হতে হবে।
শিশুর সুষ্ঠু শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে মায়ের দুধের বিকল্প নেই। শিশুদের বাজারে প্রচলিত বিকল্প শিশুখাদ্য প্রদানের ক্ষেত্রেও যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মাতৃদুগ্ধের বিকল্প খাদ্যের প্রচারণা নিয়ন্ত্রণে সরকার ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প, শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও উহা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩’ ও এ সংক্রান্ত বিধিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন পেশায় নারীর অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সরকার শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানোর নিশ্চয়তা প্রদানের জন্য ছয় মাস বেতনসহ মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান করেছে।
আমি আশা করি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ বিধান প্রতিপালনে আরো যত্নশীল হবে। দেশে মাতৃদুগ্ধ প্রদানের হার বাড়াতে পরিবারের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রেও নারীকে মাতৃদুগ্ধ দানে সহায়তা প্রদান অত্যন্ত জরুরি। শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়াতে পারিবারিক সহায়তার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্মক্ষেত্রে উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করবে- এ প্রত্যাশা করছি।
আমি ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
ইন্দোবাংলা/আর. কে