শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থ আত্নসাৎ, দুই বছর বেতন বাড়বে না সমাজসেবা কর্মকর্তার

যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি হতে প্রাপ্ত করোনা ভাইরাস সংক্রামন সংক্রান্ত সর্বশেষ গবেষণালব্ধ তথ্যাদি

*সংক্রমণ বৃদ্ধির নিয়ামকসমূহঃ*

১। বদ্ধ পরিবেশে জমায়েত তথা অফিস, আদালত, ক্লাসরুম, গণ পরিবহন, শপিং মল, সিনেমা হল, জিমনেসিয়াম, অডিটোরিয়াম, উপসানালয় ইত্যাদি হতে সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিমাণ ও সম্ভাবনা সর্বোচ্চ।
২। সামাজিক দূরত্ব মেনে খোলা পরিবেশের কর্মকান্ড থেকে সংক্রামনের পরিমাণ ও সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।
৩। স্পর্শের মাধ্যমে তথা সারফেস এরিয়া থেকে সংক্রমনের পরিমাণ ও সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।

উপর্যুক্ত গবেষণালব্ধ তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ সংক্রান্ত বিষয়ে সম্যক ধারনা লাভ এবং আত্ম সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। কারণ বাঁচতে হলে, জানতে হবে।

*আমাদের মূলত নীচের দুটি প্রশ্নের উত্তর জানতে হবেঃ*

১। কে আক্রান্ত হতে পারেন?
২। কিভাবে আক্রান্ত হতে পারেন?

একজন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হবার জন্য ১০০০ ভাইরাল পার্টিকেল (ভিপি) এর একটি ডোজ প্রয়োজন হয়। স্বাভাবিক পরিবেশে নিম্নোক্ত হারে ভাইরাল পার্টিকেলের পরিবহন ঘটে থাকে।

শ্বাস-প্রশ্বাস > ২০ ভিপি/মিনিট
কথোপকথন > ২০০ ভিপি/মিনিট
কাশি > ২০০ মিলিয়ন ভিপি (বদ্ধ পরিবেশের ভাইরাল পার্টিকেল উক্ত কয়েক ঘন্টা বাতাসে থাকতে পারে)
হাঁচি > ২০০ মিলিয়ন ভিপি (বদ্ধ পরিবেশের ভাইরাল পার্টিকেল উক্ত কয়েক ঘন্টা বাতাসে থাকতে পারে)

সংক্রমণের পরিমাপক সূত্রটি নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায়ঃ

*সংক্রমণের পরিমাণ= সংক্রামক উৎসের ভাইরাস পরিবহনের ক্ষমতা × সময়*

কয়েকটি বাস্তবভিত্তিক উদাহরণ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

*করোনা সংক্রমণের কম সম্ভাবনার ক্ষেত্রসমূহ*
১। ৬ ফুট দূরত্বে থেকে কারও সাথে কথা বলা (৪৫ মিনিট পর্যন্ত)
২। উভয়ের মাস্ক পরিধানরত অবস্থায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলা (৪ মিনিট পর্যন্ত)
৩। পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে গেলে
৪। অধিক ভেন্টিলেশন যুক্ত এলাকায় দূরত্ব অনুসরণ করে অবস্থান
৫। খোলা জায়গায় বাজার কিংবা মুদি দোকান থেকে কেনাকাটা করা

*করোনা সংক্রমণের তীব্র সম্ভাবনার ক্ষেত্রসমূহ*
১। যেকোন বদ্ধ জায়গায় অবস্থান করা
২। পাবলিক টয়লেট/ কমনস্পেস ব্যবহার করা
৩। রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া
৪। অফিস, ক্লাসরুম, উপসানালয়ে অবস্থান
৫। সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, পার্টি ইত্যাদি) যোগদান
৬। সভা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ
৭। কনসার্ট, মেলা ও সিনেমা হলে যাওয়া

*আমরা চাইলে নিজেরাই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের সংক্রমণের সম্ভাবনার পরিমাণ নির্ণয় করতে পারি।*

১। ঘরে এবং ঘরের বাইরের অবস্থানের সময়
২। সরু জায়গা এবং খোলা জায়গায় অবস্থানের সময়
৩। সংক্রমণের সম্ভাব্য উৎস
৪। সংক্রমণ উৎসের সংস্পর্শে থাকার সম্ভাব্য সময়

অতএব প্রত্যেকের উচিৎ নিজের দৈনন্দিন জীবনে করোনা সংক্রমণের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র ও সেটির সম্ভাব্য বিপদের পরিমাণ সম্পর্কে চিন্তা করা এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মনে রাখতে হবে যে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি