বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০০ অপরাহ্ন
*সংক্রমণ বৃদ্ধির নিয়ামকসমূহঃ*
১। বদ্ধ পরিবেশে জমায়েত তথা অফিস, আদালত, ক্লাসরুম, গণ পরিবহন, শপিং মল, সিনেমা হল, জিমনেসিয়াম, অডিটোরিয়াম, উপসানালয় ইত্যাদি হতে সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিমাণ ও সম্ভাবনা সর্বোচ্চ।
২। সামাজিক দূরত্ব মেনে খোলা পরিবেশের কর্মকান্ড থেকে সংক্রামনের পরিমাণ ও সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।
৩। স্পর্শের মাধ্যমে তথা সারফেস এরিয়া থেকে সংক্রমনের পরিমাণ ও সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।
উপর্যুক্ত গবেষণালব্ধ তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ সংক্রান্ত বিষয়ে সম্যক ধারনা লাভ এবং আত্ম সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি। কারণ বাঁচতে হলে, জানতে হবে।
*আমাদের মূলত নীচের দুটি প্রশ্নের উত্তর জানতে হবেঃ*
১। কে আক্রান্ত হতে পারেন?
২। কিভাবে আক্রান্ত হতে পারেন?
একজন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসের সংক্রমিত হবার জন্য ১০০০ ভাইরাল পার্টিকেল (ভিপি) এর একটি ডোজ প্রয়োজন হয়। স্বাভাবিক পরিবেশে নিম্নোক্ত হারে ভাইরাল পার্টিকেলের পরিবহন ঘটে থাকে।
শ্বাস-প্রশ্বাস > ২০ ভিপি/মিনিট
কথোপকথন > ২০০ ভিপি/মিনিট
কাশি > ২০০ মিলিয়ন ভিপি (বদ্ধ পরিবেশের ভাইরাল পার্টিকেল উক্ত কয়েক ঘন্টা বাতাসে থাকতে পারে)
হাঁচি > ২০০ মিলিয়ন ভিপি (বদ্ধ পরিবেশের ভাইরাল পার্টিকেল উক্ত কয়েক ঘন্টা বাতাসে থাকতে পারে)
সংক্রমণের পরিমাপক সূত্রটি নিম্নোক্তভাবে প্রকাশ করা যায়ঃ
*সংক্রমণের পরিমাণ= সংক্রামক উৎসের ভাইরাস পরিবহনের ক্ষমতা × সময়*
কয়েকটি বাস্তবভিত্তিক উদাহরণ নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
*করোনা সংক্রমণের কম সম্ভাবনার ক্ষেত্রসমূহ*
১। ৬ ফুট দূরত্বে থেকে কারও সাথে কথা বলা (৪৫ মিনিট পর্যন্ত)
২। উভয়ের মাস্ক পরিধানরত অবস্থায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথা বলা (৪ মিনিট পর্যন্ত)
৩। পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে গেলে
৪। অধিক ভেন্টিলেশন যুক্ত এলাকায় দূরত্ব অনুসরণ করে অবস্থান
৫। খোলা জায়গায় বাজার কিংবা মুদি দোকান থেকে কেনাকাটা করা
*করোনা সংক্রমণের তীব্র সম্ভাবনার ক্ষেত্রসমূহ*
১। যেকোন বদ্ধ জায়গায় অবস্থান করা
২। পাবলিক টয়লেট/ কমনস্পেস ব্যবহার করা
৩। রেস্টুরেন্টে খাবার খাওয়া
৪। অফিস, ক্লাসরুম, উপসানালয়ে অবস্থান
৫। সামাজিক অনুষ্ঠানে (বিয়ে, পার্টি ইত্যাদি) যোগদান
৬। সভা ও সেমিনারে অংশগ্রহণ
৭। কনসার্ট, মেলা ও সিনেমা হলে যাওয়া
*আমরা চাইলে নিজেরাই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের সংক্রমণের সম্ভাবনার পরিমাণ নির্ণয় করতে পারি।*
১। ঘরে এবং ঘরের বাইরের অবস্থানের সময়
২। সরু জায়গা এবং খোলা জায়গায় অবস্থানের সময়
৩। সংক্রমণের সম্ভাব্য উৎস
৪। সংক্রমণ উৎসের সংস্পর্শে থাকার সম্ভাব্য সময়
অতএব প্রত্যেকের উচিৎ নিজের দৈনন্দিন জীবনে করোনা সংক্রমণের অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র ও সেটির সম্ভাব্য বিপদের পরিমাণ সম্পর্কে চিন্তা করা এবং সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মনে রাখতে হবে যে, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।