শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
ইন্দোবাংলা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট:
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, তদন্তে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফের বিরুদ্ধ আনীত অভিযোগের প্রাথমিক পাওয়া গেছে। সোমবারে বিদ্যালয়ের জরুরিসভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণদর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মাহবুব-উল আলম বলেন, সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফকে সোমবারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফ শ্রেণিকক্ষে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানী করছিলেন বলে অভিযোগ তোলে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শ্রেণিকক্ষে কয়েক জন শিক্ষার্থীকে মুঠোফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখান ওই শিক্ষক। এঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ১৪ জন শিক্ষার্থী জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাইখা সুলতানাকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাইখা সুলতানা তদন্ত শেষে রোববার জেলা প্রশাসককের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
জানতে চাইলে শাইখা সুলতানা বলেন, আমি তদন্ত প্রতিবেদন ডিসি স্যারের কাছে দাখিল করেছি। তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা আছে। আমি এ ব্যাপারে কোন কথা বলব না। যা বলার ডিসি স্যার বলবেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রউফ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করি না। কারণ দর্শানোর নোটিশ এখনো পাননি বলে তিনি জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া ১৪ জন শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফ দীর্ঘদিন ধরে তাদের যৌন হয়রানী করে আসছেন। তারা ও তাদের অভিভাবেকরা মৌখিকভাবে প্রধানশিক্ষককে জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো সমাধান পাননি। গত ৩১ আগষ্ট দশম শ্রেণির পাঠদানের সময় শিক্ষক আব্দুর রউফ দুই জন শিক্ষার্থীকে তাঁর কাছে ডেকে নিয়ে মুঠোফোনে থাকা অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে নোংরা কথা বলে তাদের উত্ত্যক্ত করেন। ওই শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে খরাপভাবে শিক্ষার্থীর শরীর ছোঁয়ার চেষ্টা ও তাদের শারীরিক গঠন নিয়ে কু-মন্তব্য করেন। এই বিষয়ে তারা প্রধানশিক্ষককে জানিয়েছে। কিন্তু প্রধানশিক্ষক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।