শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থ আত্নসাৎ, দুই বছর বেতন বাড়বে না সমাজসেবা কর্মকর্তার

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর সত্যতা মেলায় কারণ দর্শানোর নোটিশ

ইন্দোবাংলা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট:

জয়পুরহাট জেলা শহরের কালেক্টরেট বালিকা বিদ্যানিকেতনের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানীর সত্যতা পাওয়ায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তাকে কারণ দর্শানোর এই নোটিশ দেওয়া হয়। এর আগে রোববার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাইখা সুলতানা জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোঃ শরীফুল ইসলাম বলেন, তদন্তে সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফের বিরুদ্ধ আনীত অভিযোগের প্রাথমিক পাওয়া গেছে। সোমবারে বিদ্যালয়ের জরুরিসভায় অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণদর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মাহবুব-উল আলম বলেন, সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফকে সোমবারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফ শ্রেণিকক্ষে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর যৌন হয়রানী করছিলেন বলে অভিযোগ তোলে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া শ্রেণিকক্ষে কয়েক জন শিক্ষার্থীকে মুঠোফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখান ওই শিক্ষক। এঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর ১৪ জন শিক্ষার্থী জয়পুরহাট জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এরই প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাইখা সুলতানাকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাইখা সুলতানা তদন্ত শেষে রোববার জেলা প্রশাসককের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

জানতে চাইলে শাইখা সুলতানা বলেন, আমি তদন্ত প্রতিবেদন ডিসি স্যারের কাছে দাখিল করেছি। তদন্ত প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা আছে। আমি এ ব্যাপারে কোন কথা বলব না। যা বলার ডিসি স্যার বলবেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক আব্দুর রউফ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমি স্মার্টফোন ব্যবহার করি না। কারণ দর্শানোর নোটিশ এখনো পাননি বলে তিনি জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া ১৪ জন শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফ দীর্ঘদিন ধরে তাদের যৌন হয়রানী করে আসছেন। তারা ও তাদের অভিভাবেকরা মৌখিকভাবে প্রধানশিক্ষককে জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কোনো সমাধান পাননি। গত ৩১ আগষ্ট দশম শ্রেণির পাঠদানের সময় শিক্ষক আব্দুর রউফ দুই জন শিক্ষার্থীকে তাঁর কাছে ডেকে নিয়ে মুঠোফোনে থাকা অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে নোংরা কথা বলে তাদের উত্ত্যক্ত করেন। ওই শিক্ষক শ্রেণি কক্ষে খরাপভাবে শিক্ষার্থীর শরীর ছোঁয়ার চেষ্টা ও তাদের শারীরিক গঠন নিয়ে কু-মন্তব্য করেন। এই বিষয়ে তারা প্রধানশিক্ষককে জানিয়েছে। কিন্তু প্রধানশিক্ষক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

সিকে

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি