বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, জেলার নিকড়দিঘী নান্দুলা উচ্চ বিদ্যালয়টির ৬.৭৮ একর পুকুর ও ১০ একর ধানী জমি লিজ বাবদ ২০১৩ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত আয় ৭৮ লাখ ৭৪ হাজার, ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পরযন্ত জমি থেকে আয় ৩০ লাখ টাকা, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পরযন্ত দিঘী/পুকুর থেকে আয় ৮৫ লাখ ৯১ হাজার এবং বিবিধ থেকে আয় আয় ৫ লাখ টাকা এই মিলে প্রায় ১ কোটি ৯৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা যা প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের তহবিলে সঠিক হিসেব দেননি বা ব্যাংকে জমা করেননি। তিনি এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভায় আলোচনা না করে শুধু সভাপতির সাথে যোগসাজস করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া বিদ্যালয়ের যথেষ্ট আয় থাকা সত্বেও ৪৫ হাজর টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছেন।
বিদ্যালয়ের স্কাউট শিক্ষার্থী নাছিম মাহমুদ নিরব বলেন, ‘আমাদের স্কাউট ফান্ডে টাকা জমা আছে। কিন্তু আমরা কোন প্রোগ্রামে টাকা চাইলে তিনি (প্রধান শিক্ষক) দেন না। বিদ্যালয়ের অভিযোগ তদন্ত করা হোক’।
আখতারুল ইসলাম মাসুদ, মেহেদী হাসানসহ একাধিক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ের জমি থেকে কোটি টাকার আয় হয়। কিন্তু বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজস করে অর্থ আত্মসাৎ করে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার বলে জানান তারা।
স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাও. মোহাম্মদ সাফিউল্লাহ জানান, পুকুর লিজের ৪১ লাখ টাকার মধ্যে ১২ লাখ বিদ্যালয়ের ফান্ডে জমা হয়েছে। এরপরও দেড় বছর লিজ ছাড়ায় পুকুর চাষাবাদ করেছে প্রভাবশালীরা অথচ পুকুরের ৬লাখ টাকা খাজনা ও বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছেন ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, তিনি শিক্ষক প্রতিনিধি কিন্তু কখনো কোন সভায় বা মিটিংয়ে বিদ্যালয়ের আয় ব্যয়ের হিসেব দিতেননা প্রধান শিক্ষক এবং অভ্যন্তরীন কোন অডিট করতেননা। ব্যাংকের কোন হিসেব তিনি কাউকে জানাতেননা। কেউ কিছু বললে সভাপতি এবং রাজনৈতিক নেতা- কর্মীর ভয় দেখাতেন।
বিদ্যালয়টির সহকারি প্রধান শিক্ষক মিনহাজ টিটু জানান প্রধান শিক্ষক তার ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের কারনে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেননা প্রধান শিক্ষকের নানা ধরনের প্রশাসনিক কারযক্রম ব্যহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি কাউকে ভারপ্রাপ৪্ত দায়িত্ব দেননি। এখভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করা সাধারন শিক্ষকদের পক্ষে সমস্যা হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির উদ্দিন বলেন, ‘জোরপূর্বকভাবে আমাকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। এসব আ.লীগের আগ্রাসনে হয়েছে, তারাই এসব ভোগদখল করেছে। এখন আমার উপর প্রভাব আসছে। গত ৫ আগস্টে সরকার পতনের আগে তো কেউ কিছু বলেনি। আগে তো আমি জবাই করা গরুর মত ছটপট করেছি’।
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়টির দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি আরিফা সুলতানা বলেন,‘প্রধান শিক্ষকের বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
ইন্দোবাংলা/এম.আর