বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:১২ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুরের নশিপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদর দপ্তরে ঘাতসহনশীল গবেষণা কমপ্লেক্স উদ্বোধন, গ্রিন হাউসে বিভিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন এবং প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিকাজ করে কৃষক শুধু খেয়ে পড়ে আর গামছা-লুঙ্গি পড়ে কোনো রকমে বেঁচে থাকবে সেটি আর থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কৃষিকে আধুনিক ও লাভজনক করতে নিরলস কাজ করছে। যাতে করে কৃষি দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও কৃষকের উন্নত জীবনের মূল হাতিয়ারে পরিণত হতে পারে। সে লক্ষ্যেই বর্তমান সরকার কৃষিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করছে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল খাদ্য চালের পাশাপাশি গম ও ভুট্টার চাহিদাও বাড়ছে। ভুট্টা উৎপাদনে আমরা খুবই সফল হয়েছি। ২০০৮-০৯ সালে ভুট্টার উৎপাদন যেখানে মাত্র ৬ লাখ টন ছিল, তা বেড়ে ৬৭ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। নানান সমস্যা থাকায় গমের উৎপাদন তেমন বাড়েনি, বছরে প্রায় ৬০ লাখ টন গম আমদানি করতে হয়। তবে দেশের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি গমের উন্নত সম্ভাবনাময় জাত উদ্ভাবন করেছে। আশা করছি, এগুলো চাষের মাধ্যমে আমরা গমের আমদানি অনেকটা কমিয়ে আনতে পারব।
পেঁয়াজ-আলু- ডিমের দাম বেশির বিষয়ে তিনি বলেন, এসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি সাময়িক ব্যাপার, শীঘ্রই দাম কমে আসবে। আর ডিম আমদানির ফলে দেশের খামারিরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
এসময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, গম ও ভুট্টা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক গোলাম ফারুক, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রংপুর ও দিনাজপুর অঞ্চলে তেল ফসল ও ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।