সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
ভারতে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি লাভজনক বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনোয়ার হোসেন ৷
বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা বাড়তি ব্যান্ডউইডথ ভারতে রপ্তানি করবো। কারণ বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে ব্যান্ডউইথের দাম বেশি। ভারতে প্রতি মেগাবিটের দাম ১০ ডলার বা প্রায় ৮০০ টাকা, আর বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৬২৫ টাকায়।’
রোববার এক সংবাদে এ কথা বলেন মনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, আগামী তিন বছর পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়েও দেশে অতিরিক্ত ব্যান্ডউইডথ অব্যবহৃত থাকবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ২০০ জিবিপিএস-এর মাত্র ৩৩ জিবিপিএস ব্যবহার করে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চাহিদা বেড়ে ৯০ জিবিপিএস হতে পারে। এরপরও ১১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ অব্যবহৃত থাকবে।
তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করা হবে। এতে বাংলাদেশ বছরে ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা পাবে। পরে ৪০ জিবিপিএস পর্যন্ত ব্যান্ডউইডথ ভারতে রপ্তানি হতে পারে।
তিন বছরের চুক্তিতে ভারতে ব্যান্ডউইডথ রপ্তানির প্রস্তাব গত ২০ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন পায়। আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিন এ রপ্তানি শুরু হতে পারে। ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল) এবং বাংলাদেশের বিএসসিসিএল এর মধ্যে এই চুক্তি সই হবে।
বাংলাদেশের একমাত্র সাবমেরিন কেবল সি-মি-ইউ-৪ এর কক্সবাজার ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে আখাউড়া হয়ে আগরতলা দিয়ে এ ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি হবে।
সি-মি-ইউ-৫ যাকে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল বলা হচ্ছে তাতে যুক্ত হলে বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইডথ পাবে। আগামী বছরের ডিসেম্বরে এ সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হতে পারে বাংলাদেশ ৷