বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন
বিশ্বব্যাপী তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য টেলিনর গ্রুপের আয়োজন টেলিনর ইয়ুথ ফোরামে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারীদের জন্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে। এই ফোরামের লক্ষ্য সমাজে প্রযুক্তিগত রূপান্তরের বিষয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তরুণদের মধ্যে সংযোগ ঘটানো।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে এই ফোরামের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, গ্রামীণফোনের হেড অফ এক্সটার্নাল কমিউনিকেশনস সৈয়দ তালাত কামাল ও গ্রামীণফোনের সেন্টার অব এক্সপারটাইজ, পিপলস অ্যান্ড অর্গানাইজেশন বিভাগের পরিচালক সৈয়দ তানভীর হোসেন।
এ বছর ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে অসলোতে ইয়ুথ ফোরামটি অনুষ্ঠিত হবে। এ ইয়ুথ ফোরামে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে প্রভাব বিস্তারকারী তরুণেরা অংশগ্রহণ করবেন। প্রযুক্তির উত্থানের এই সময়ে তরুণদের একসঙ্গে কাজ করার একটি মঞ্চ করে দেয়ার মাধ্যমে একটি প্রজন্মের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাই এই ইয়ুথ ফোরামের উদ্দেশ্য। এ বছর এ ফোরামের বিষয় নির্ধারিত হয়েছে ‘সবার জন্য জ্ঞান‘।
প্রথম ধাপে স্থানীয়ভাবে বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থী, তরুণ শিক্ষাবিদ ও উদ্ভাবকেরা এ প্রতিযোগিতার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। ধারণা করা হচ্ছে, নিবন্ধনের সময় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা, ডিজিটাল কমিউনিকেশন সমাজের একটা বড় অংশের মানুষের শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রের ওপর প্রভাব ফেলে এ নিয়ে তাদের নিজস্ব ভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গী উপস্থাপন করবেন।
টেলিনর গ্রুপের ব্যবসা আছে বাংলাদেশসহ এমন ১৩টি দেশের প্রতিটি থেকে দুজন করে প্রতিযোগী নরওয়ে মূল প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হবেন। ২৮ বছর বয়সের নিচে মুক্তমনা ও দৃঢ়চেতা তরুণ, যাদের ভাবনার জায়গাটা এখনো নবীন ও সৃষ্টিশীল, তারা অসলোর মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হবেন।
এ বছরের অক্টোবর মাসে একটি সংক্ষিপ্ত বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে স্থানীয় বিচারকদের চূড়ান্ত রায়ে একটি গালা অনুষ্ঠানে চার ফাইনালিস্ট নির্ধারণ করা হবে। এ চার ফাইনালিস্টের মধ্যে থেকে দুজন ডিসেম্বরে অসলোতে যাবেন। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও টেলিনরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক নির্বাচন প্যানেলের মাধ্যমে চার ফাইনালিস্ট থেকে দুজন বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। যারা মূল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য বিবেচিত হবেন।
গত বছর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশরাফুল হক সিফাত ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওশিন মেহজাবিন চৌধুরী বাংলাদেশের টেলিনর ইয়ুথ সামিট জিতে অসলোতে টেলিনরের মূল প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার নাম ছিলো ‘টেলিনর ইয়ুথ সামিট‘। এ বছর থেকে ইয়ুথ ফোরাম শুধুমাত্র অসলোর মূল প্রতিযগিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে একই সঙ্গে সরাসরি ও ডিজিটাল পরস্পর সক্রিয় সংলাপে রূপান্তরিত হবে।