শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
দাম বাড়িয়ে তামাকের ব্যবহার কমাতে হবে -ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ইউরোপীয় তৈরি পোশাক আমদানিকারকদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ- পরিবেশমন্ত্রী ২০২৫ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে টেনিসের অন্যতম জায়গায় অবস্থান করবে- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ২৯ মার্চ থেকে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন -ভূমিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারবে না- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ড. আবদুল মালেক নতুন প্রধান তথ্য কমিশনার বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পানি দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী বিশ্ব পানি দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা

২০ মে থেকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু

যমুনা নিউজ বিডিঃ চলতি মাসের ২০ মে থেকে সারা দেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। মোট চার ধাপে সারা দেশে এ হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

প্রথম ধাপে ১৪০টি উপজেলায় ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ সময় নির্বাচন কমিশনের তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করবেন। মঙ্গলবার সকালে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০২২ উদ্বোধনকালে এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এই প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। এ ছাড়া নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. আবদুল বাতেনসহ নির্বাচন কমিশনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইসি জানায়, এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে দুই বছরের অগ্রিম তথ্যসহ মোট তিন বছরের তথ্য নেওয়া হবে। যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ২০০৭ বা তার আগে অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যেসব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

এ কার্যক্রমে ১ জানুয়ারি ২০০৫ বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের ২ জানুয়ারি ২০২৩, ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের ২ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে এবং ০১-০১-২০০৭ বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের ২ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে নিবন্ধিত ভোটার হিসেবে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

হালনাগাদ সম্ভাব্য ভোটার বৃদ্ধির হার ৭.৫০ শতাংশ। এ ছাড়া এর আগে বিভিন্ন কারণে যারা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেননি তদেরকেও হালনাগাদ ভোটার করা হবে। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে মৃত ভোটারের তথ্যও সংগ্রহ করা হবে। এ সময় ভোটার স্থানান্তরের আবেদনও করা যাবে। ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য যেসব ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে এর মধ্যে রয়েছে ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পিতা-মাতার এনআইডির ফটোকপি ও ইউটিলিটি বিলের কপি। এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে প্রায় ৫৬ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী এবং ১১ হাজার ৩০০ সুপারভাইজর নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের দিনব্যাপী হাতে-কলমে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও মাঠপর্যায়ের অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজরদের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

হালনাগাদ কার্যক্রমের প্রত্যেক ধাপে ৩ সপ্তাহ সময় দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এ কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা পাঠদানের পাশাপাশি যেন ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একজন তথ্য সংগ্রহকারী গড়ে ১৮০ জন ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করবেন। তথ্য সংগ্রহের পরপরই ধাপে ধাপে নিবন্ধন কেন্দ্রে ভোটারদের নিবন্ধন করা হবে। আগের মতো উপজেলা, থানা পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ এবং সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় ওয়ার্ড পর্যায়ে নিবন্ধন কেন্দ্র স্থাপন করে ভোটারদের ছবি, দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ গ্রহণ করে ভোটার নিবন্ধন করা হবে। এ সময় ভোটারদের মূল তথ্যের প্রিন্ট কপি দেওয়া হবে।

রোহিঙ্গারা যাতে ভোটার তালিকাভুক্ত হতে না পারে সেজন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৩২টি বিশেষ এলাকার জন্য বিশেষ কমিটির মাধ্যমে নিবন্ধন যাচাই-বাছাই করা হবে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক সংবলিত ডাটাবেসও ব্যবহার করা হবে।

২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের পর ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল। ২০১৩ সালে ১ জানুয়ারিতে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ ২৬ বার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে তাদের অন্তর্ভুক্তিসহ তৃতীয়বার এবং ২০১৮ সালে ১ জানুয়ারি তারিখে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তিসহ চতুর্থ বার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিশেষ কার্যক্রম হিসেবে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম অথবা ভোটার তালিকায় হালনাগাদের বিগত কার্যক্রমে বাদ পড়েছেন, তাদের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য পঞ্চমবার ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছিল।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে ষষ্ঠবার মাঠ পর্যায়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয় যাতে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যেসব ব্যক্তির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ বা বেশি হয়েছে অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিগত কার্যক্রমে বাদ পড়েছিল তাদের তথ্য নিয়ে।

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২২।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি