রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
সেলিম রেজা, জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে সদর থানার হাজুতে থাকা অবস্থায় মনিরুজ্জামান (৩৮) নামে আসামী অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানা গেছে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে মারা যান ওই আসামী।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার পরে ওই আসামীকে শহরের নতুনহাট (দেওয়ানপাড়া) এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান।
আসামী মনিরুজ্জামান হলেন, দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বড় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে ও শহরের নতুনহাট (দেওয়ানপাড়া) এলাকার একটি ভাড়া বাসা থাকেন। সে মাদকাসক্ত ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় দুই বছর আগে জেলার পাঁচবিবির সোনাপুর গ্রামের কুইন বেগমের সঙ্গে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বড় ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামানের বিয়ে হয়। দাম্পত্য কলহের কারণে দশ মাস আগ তালাক হলে তারা আলাদাভাবে বসবাস করে। তালাকের পর থেকে কুইন বেগম জেলা শহরের নতুনহাট (দেওয়ানপাড়া) এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ভাড়া বাসায় সাবেক স্ত্রীর কাছে আসে মনিরুজ্জামান। সে পুন:রায় সংসার করার প্রস্তাবে ব্যর্থ হলে সাবেক স্ত্রীকে গলা চেপে হত্যার চেষ্টা করেন। বুধবার সকালে ঘটনাটি জানা-জানি হলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করে কুইন বেগম তার সমস্যার কথা জানাই পুলিশকে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুইন বেগমের অভিযোগের ভিক্তিতে তার সাবেক স্বামী মনিরুজ্জামানকে ঘটনাস্থলেই আটক করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থানা হাজতে আনা হয় মনিরুজ্জামানকে। আবারও মনিরুজ্জামান থানা হাজতে অসুস্থ পড়লে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাড়ে বারোটায় মারা যান মনিরুজ্জামান। সে সময়ে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমাইয়া সাচি। রোগী মনিরুজ্জামানেরর বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দিবেন না বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়ে দেন।
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সরদার রাশেদ মোবারক জানান, ঘটনার তিন ঘন্টা আগে একবার হাসপাতালে এনেছিল রোগি মনিরুজ্জামানকে পুলিশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন সে। ময়নাতদন্তের পর লাশ হস্তান্তর করা হবে।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আলমগীর জাহান জানান, সাবেক স্ত্রীর কুইন বেগমের ভাড়া বাসায় আসার দু’ঘন্টার আগেই ড্রাগ নিয়েছিলে আসামী মনিরুজ্জামান। ড্রাগ নেওয়ার কারণে অসুস্থ বলেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসা শেষে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়। সেখানে আবারও অসুস্থ পড়েন সে। পুলিশ দ্রুত তাকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ইন্দোবাংলা/এস. এম