বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:০৪ অপরাহ্ন
শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অভিযাত্রায় আরো ৫০টি শ্রেণিকক্ষ সংযুক্ত হলো। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) এর কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি তহবিল থেকে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চাশটি শ্রেণিকক্ষ ডিজিটাইজ করার লক্ষ্যে প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের জন্য একটি করে মাল্টিমিডিয়া এনড্রয়েড টিভি, একটি করে ট্যাব ও ডিজিটাল কন্টেন্ট প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকায় টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বিএসসিসিএল-এর উদ্যোগে এবং টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ও টেলিফোন শিল্প সংস্থার সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের ২২ জন শিক্ষকের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপণী অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের চেয়ে ভাল কাজ হতে পারে না। আমাদের পাঠ্যবইকে ডিজিটাল উপাত্তে রূপান্তর করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সাল থেকে গত তের বছরে হাটি হাটি পা পা করে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যক্রম ডিজিটালে রূপান্তরে সক্ষম হয়েছি। বিশ্বে এ ধরনের ডিজিটাল উপাত্ত তৈরি করা এটাই প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র।
মন্ত্রী বলেন, আগামী সভ্যতা গড়ে উঠবে ডিজিটাল সংযুক্তির উপর। প্রচলিত শিক্ষা ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তর না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জ আমাদেরকে মোকাবিলা করতে হবে। তিনি বলেন, সামনে রোবোটিক্স, আইওটি, বিগডেটা, ব্লকচেইন ইত্যাদি নতুন প্রযুক্তি প্রসারের ফলে আগামী দিনগুলোতে প্রচলিত ধারার শিক্ষায় কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে। তাই প্রযুক্তির বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য।
বিএসসিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডিজিটাল কনটেন্ট বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজয় ডিজিটাল-এর সিইও জেসমিন জুই। অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মশিউর রহমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যুগ্মসচিব রাশেদা ফেরদৌস এবং প্রশিক্ষণার্থীদের পক্ষে টিএন্ডটি স্কুলের শিক্ষক আবদুল্লাহ আল মামুন বক্তৃতা করেন। টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান হাবিব তফাদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
ইন্দোবাংলা/আর. কে