শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
এর আগেও পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দফায় দফায় সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার। সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি দাস চিঠিটি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দিয়েছেন।
এর আগে গত মার্চে আগের সব শর্ত বহাল রেখে পঞ্চমবারের মতো বিএনপিপ্রধানের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার। সেই মেয়াদ ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে। এর আগেই আবেদন করল বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সাজা স্থগিতের মেয়াদ ষষ্ঠবারের মতো বাড়ছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে সরকারের পক্ষ থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। মুক্তির জন্য সে সময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো খালেদা জিয়াকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।
২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম শর্তটি আর কার্যকর থাকেনি। তিনি বারবার এভারকেয়ারে যান এবং সেখানে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। তবে স্বজনদের আবেদন ও তার দলের নানা কর্মসূচির পরও সরকার বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলে দ্বিগুণ হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। উচ্চ আদালতে জামিন করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন নিয়ে যান।