বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২২ অপরাহ্ন
সহজ সরল রন্ধন শিল্পী রোমানা আফরোজ রিমঝিম তার পোস্ট দেখে সায়মনের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রন্ধন শিল্পী হাসিনা আনসার (নাহার) এর সাথে যোগাযোগ করে সায়মন সম্পর্কে জানতে চায়। তখন হাসিনা আনসার বলেন, সায়মন আমার ভাইয়ের মত। সে শেফ ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ এর অর্গানাইজিং সেক্রেটারী। হাসিনা আনসারের মিষ্টি মধুর কথায় বিশ্বাস করে রিমঝিম ও তার স্বামী সায়মন এর অফিসে যায়। প্রাথমিক আলোচনার পর রিমঝিম এর স্বামী মাইজুদ্দিন গত ০১/১২/২০২১ ইং তারিখ ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তি করে নগদ ৫ লাখ টাকার চেক আনোয়ার হোসেন ওরফে শেফ সাইমন এর হাতে তুলে দেয়।
উল্লেখ স্ট্যাম্প তৈরির সময় পরিকল্পিত ভাবে সায়মন তার বিবরণীতে মোঃ আনোয়ার হোসেন সায়মন খাঁন, পিতা শহিদুল ইসলাম খাঁন, মাতা রেনুয়ারা বেগম ও এনআইডি নাম্বার ১৮৭-…-১১২৪ লিখে যা সায়মন এর মোবাইল ০১৮৭৪…১২৪ নম্বর । তার সঠিক এনআইডি কার্ড যাচাইয়ের পর দেখা যায়, আনোয়ার হোসেন পিতা- শহিদুল ইসলাম, মাতা- রেনুয়ারা বেগম, এনআইডি নাম্বার ১৯৬-…-১৭০৯। নিঃসন্দেহে এটি প্রতারনার সামিল।
প্রতারক সায়মন যেখানে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা করে লাভ দেয়ার কথা, সেখানে গত ৯ মাসে কোনো লাভ দেয়নি। এমতাবস্থায় লাভের পরিমান দাঁড়ায় মোট টাকাসহ ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ভুক্তভোগী যেহেতু বিটিইএ এর সদস্য, সেহেতু গত রোজার মাসে তার একজন পরিচিত ব্যক্তিকে দিয়ে সায়মনকে ফোন করলে সে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। গত ২০ আগস্ট জানায়, সে কোনো টাকা দিবেনা। কারণ হলো সে কৌশলে স্ট্যাম্পে জালিয়াতী করেছে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে গ্রীনরোডে রাস্তার মাঝে এক মহিলা সায়মনের গালে মুখে থাপ্পড় চড়িয়েছে।
গত ২১ আগস্ট বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য শেফ ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী ও সেক্রেটারী জেনারেল জহির খানের অনুরোধে ভুক্তভোগী শেফ ফেডারেশন এর অফিসে গেলে তারা এক সপ্তাহ সময় নেয়। এরপর মোহাম্মদ আলী ও জহির খান এর অনুরোধে ভুক্তভোগী রিমঝিম ও তার স্বামী আবারও শেফ ফেডারেশন এর অফিসে গেলে সায়মন তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ঘটনার পুরো রেকর্ডিং ভুক্তভোগীর কাছে সংরক্ষিত আছে।
এই ঘটনার আলোকে শেফ ফেডারেশন এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী ও সেক্রেটারি জহির খানও ভুক্তভোগীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে । প্রতারক সায়মন খান কখনো হোটেল গিভেন্সি ( বাবুল টাওয়ার) এর মালিক বাবুলের ভয় দেখায়। আবার কখনো বাবুলের ছেলে ফরহাদের ভয় দেখায়। আবার কখনো কখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তার মামা হয় বলে হুমকি দেয়। প্রতারক সায়মন সম্পর্কে জানতে গিয়ে নানান রকম প্রতারণার চিত্র উঠে আসে। রন্ধন শিল্পী মৌসুমি আলম অনেক আগে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা লাভ দেয়ার কথা বলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেয় যা আজও ফেরত দেয়নি। বিগত দিনে ইতালির বুলুনিয়া শহরে থাকাকালীন বেশ কয়েকজন প্রবাসীর কাছ থেকে বিদেশ নেয়ার কথা বলে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইতালির বিলুনিয়া শহর ছেড়েছে। সে সময় লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের কাছে কোনো ডকুমেন্টস না থাকায় তারা মামলা করতে পারেনি।
ভুক্তভোগীর তথ্য মতে, প্রতারক সায়মনকে ওতোপ্রোতো ভাবে সহায়তা দিচ্ছে রন্ধন শিল্পী হাসিনা আনসার ওরফে নাহার। রন্ধন শিল্পী হাসিনা আনসার যে ১০০ জন রন্ধন শিল্পীদের লেখা দিয়ে দুইবার বই প্রকাশ করেছে, তার খরচের পুরো টাকাই এই সায়মন দিয়েছে। ফলে হাসিনা আনসারও প্রতারণায় জড়িত। সে সায়মনকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করে রন্ধন শিল্পীদের বই প্রকাশের ন্সমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এভাবে তারা কতো জনকে পথে বসিয়েছে তাই বা কে জানে।
ইন্দোবাংলা/এম. আর