রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন
প্রতিবাদ লিপিতে তিনি বলেছেন- ‘আমাকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। মূলত ‘দৈনিক আলোকিত পত্রিকা’র সূত্র ধরে যে সংবাদ ইন্দোবাংলা২৪.কম এ প্রকাশিত হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং কোনো ধরনের যুক্তিসঙ্গত তথ্য ও প্রমান নেই। ফলে আমি আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার পর উক্ত পত্রিকা থেকে সংবাদটি মুছে দেয়া হয়। তবে ইন্দোবাংলা২৪.কম এ সংবাদটি রয়ে যায়। যে সংবাদ এর আড়ালে মনগড়া গল্প প্রচারের মূলে রয়েছে একটি চক্রের এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর লিংক ব্যবহার করে সেই চক্রটি তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধার করতেই আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে সমাজে ছোট করার চেষ্টায় আমার পেছনে লেগেছে। আমি এই সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে- মেঘলার (ছদ্মনাম) সাথে আমার ছোট ভাই কাজী লুৎফর রহমান রিয়াজ এর পরিবারিক আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, তাই আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়াই সঠিক মনে করি।
কিন্তু ওই চক্রটি আমাদের পারিবারিক মামলার বিষয়টির সূত্র ধরে অযথা ব্যক্তি আমাকে নিয়ে পত্রিকায় মনগড়া গল্প জুড়ে দিয়ে সংবাদ প্রকাশ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাজে ও অশ্লীল ভাষায় ভিত্তিহীন লেখালেখি করে যাচ্ছেন, যা কোনোভাবেই একজন শিক্ষিত ও রুচিশীল মানুষের কাছ থেকে কাম্য নয়। তাছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিক এইসব রিপোর্ট পর্যালোচনা করলেই পেশাদার সাংবাদিকদের বুঝতে বাকি থাকেনা যে এটি একটি মনগড়া সাজানো গল্প। যথেষ্ট তথ্য-প্রমান ও স্ব স্ব বক্তব্য সংগ্রহ করে তবেই একটি সংবাদ প্রকাশ করতে হয়, যার কিছুই এখানে নেই। আমি মনে করি- থানা বা আদালতে মামলা হলে শ্রদ্ধেয় সাংবাদিকগণ সেই সূত্র ধরে সংবাদ প্রকাশ করতেই পারেন। কিন্তু সেই সংবাদ প্রকাশ করার আগে যার বিরুদ্ধে লেখা হচ্ছে, তার বক্তব্য নেয়া এবং সকল তথ্যের সাথে যথেষ্ট প্রমান মিলিয়ে তা পাঠকের সামনে প্রকাশ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানি। যা উক্ত সংবাদের কোথাও নেই। মূলত মনগড়া ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে একপেষি সংবাদটি প্রকাশ ও নানা মাধ্যমে এটির লিংক প্রচার করে পর্দার আড়ালে থাকা অপরাধীরা নিজেদের অপরাধ ঢেকে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। মহামান্য আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলার সূত্র ধরে কোনো ধরনের প্রমান ছাড়া অতিরঞ্জিত ও ব্যক্তিগতভাবে একজন নারীর চরিত্র হরণ করে কোনো সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার কাম্য নয়। মনগড়া মিথ্যে দিয়ে সত্যকে কখনও দমিয়ে রাখা যায় না।
এখানে আরও বলে রাখা ভালো যে- সেই চক্রের মূল হোতা এক ব্যক্তি আমার মতো দেশের নামিদামি আরও বেশ কয়েকজন রন্ধনশিল্পী ও শেফদের বিরুদ্ধে একইভাবে নোংরা প্রচারনা করে যাচ্ছেন বেশ কিছুদিন যাবত। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে গিয়ে তিনি মনগড়া ও অশ্লীল বাক্য জুড়ে দিয়ে বিভিন্ন বাজে তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন। যার ফলে অনেকেই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
আমি উক্ত মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। যারা নিজেদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে সংবাদটি করিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে অতিসত্তর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইন্দোবাংলা/আর. কে