রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১২ পূর্বাহ্ন
আমি দেখিনাই একাত্তরের ভয়াবহ প্রলয়
পূর্ব বাংলার সেই সিংহাসনকাঁপা
রক্তে রঞ্জিত আহাজারি,
কারও হস্তে অর্পনও করিনাই,
আমার সেই কবিতার দৃপ্ত কণ্ঠস্বর
শুনিয়াছি ক্লান্তলগ্নে মানুষে যা রটিয়াছে বাড়ি বাড়ি ।
শুনিয়াছি মুরব্বিয়ানদের কাছে,
আকাশ কাঁপে, বাতাস কাঁপে ঝরোঝরো,
কতই না লতাপাতা বৃক্ষরাজি ভাসিয়াছে,
কতই না প্রাণী ছুটাছুটি করিয়াছে,
মানুষের দ্বারে দ্বারে,
কতই না ভাসিয়াছে, মানুষের লাশ,
রক্তে রঞ্জিত হইয়া গিয়াছে-
অথৈ সাগরের পানিতে।
শুনিয়াছি একাত্তরের ঘাতক রাজাকার, আলবদর, আলশামস
কতই না ইতিহাসে বিকৃত ঘটাইল
আপন স্বার্থন্বেষী মহল,
খুলে দেয়নি তারা সেই মানবতার রুদ্ধ দ্বার,
প্রহার করিয়াছে গগনচুম্বী আলোকিত হইয়াছে অন্ধকার ।
অন্তঃলগ্নে জাতি হইয়াছে কলংকিত,
ধরা দিয়েছিলাম আমি পরের তরে
ভাবিনাই আমি করিয়াছি কাহারে কুর্নিশ?
কি করিয়াছি কি করিব আমি তাহা ভাবিনাই,
মোর আছে যপি যত অর্থলিপ্সা
তাইতো আমি পেটের ক্ষুধা মিটাই,
খুটিয়ে খুটিয়ে আমি ঘুরি ফিরি মন্ত্রিত্বের।
কাহারা দেশ বাঁচাইল, কাহারা জাতিকে মাথা উঁচু করে
দাঁড়াইবার শক্তি সঞ্চার করিল, বা
যে লোকটি নিঃস্বার্থভাবে শতশত ত্যাগ তিতিক্ষা,
আর জেলের গ্লানি নিয়ে পুরো পরিবারটাকেই করিল ধ্বংস তিনিই বা কে?,
কবি আমি এই কাব্যিক ভাবটি –
রহিয়াছে আমার অন্তস্থলে,
অনুধাবন করিতে পারিয়াছি কিনা জানি না
তবে এটা সত্য যে কালের আবর্তনে
যাহারা রোদে পুড়ে করিয়াছি জাল বুনি
মাছের আবাদ করিবো বলে সেতো জানি অর্ন্তযামী।
সবিনয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে আমাদের সেই সেতুবন্ধন,
যাহারা সবকিছু গ্রাস করিয়া চেয়েছিল আবাদী লুণ্ঠন ।
জানে তাহারাও ত্রিশলক্ষ প্রানের বিনিময়ে
অর্জিত হইয়াছে এ দেশটি
পরিচালক ছিলেন একজন-ই তিনি আর কেউ নন
তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান
তিনিই তো আমাদের এনে দিয়েছেন আলোকিত দেশ গড়ার শৃংখল
আমাদের সেই মহামানবের সুর ধ্বনিত হলে
অত্যাচারীর গ্লানি মুচে
আকাশে, বাতাসে, সমুদ্রে বন্দরে, অন্দরে কাঁপে বজ্রপাত
তাইতো সারা বাংলা জাগরন আজ
ধ্বনিতে আজ মাতিয়া উঠিলো
সাবাস বাংলাদেশ সাবাস।
লেখক:
আজহার মাহমুদ
দিনাজপুর
ইন্দোবাংলা/এম. আর