সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন
জয়পুরহাট প্রতিনিধি: জাতীয় সংসদের হুইপ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, ‘১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তদানিন্তন পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হয়েছেন। জনগণ তাঁকে রায় দিয়েছিলেন পাকিস্তান শাসন করবার জন্য। তিনি ইচ্ছে করলেই গোটা পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। যদি তিনি বাঙ্গালীর সংগে,৬ দফার সাথে,বাঙ্গালীর অধিকার প্রতিষ্ঠার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করতেন। তিনি মেজরিটি পার্টির নেতা নির্বাচিত হয়েও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন নাই। কারণ বেঈমানী বিশ্বাস ঘাতকতা বঙ্গবন্ধুর রক্তে ও রাজনীতিতে নেই। বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালীর অধিকার প্রশ্নে অটুট ছিলেন বলেই পাকিস্তানীরা তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নাই। মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে তিনি স্বাধীনতার ডাক দিয়েছেন কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। কারণ রাজনীতি হুট করে করার বিষয় নয়। রাজনীতি কখনও মাথা গরমের জায়গা নয়। রাজনীতিতে একটি সিস্টেম আছে। দেশ এবং বহি:বহিবিশ্বের সাপোর্টের বিষয় আছে। তাই তিনি ৭ই মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়ে বলেছেন এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। ৭ই মার্চে তিনি জাতিকে জানিয়ে দিয়েছেন আমাদের কোন দিকে যেতে হবে’।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুরে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় সরকারি ময়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ক্যাম্পে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে আরো বলেন, ‘যখন পাক হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ কালো রাতে ঢাকায় গণহত্যা শুরু করলো,তখনই তিনি মোক্ষম সময় পেয়ে রাত ১২টার পর পাকিস্তানের মেজরিটি পার্টির নেতা হিসেবে,বাংলাদেশের জনগণের নির্বাচিত ও সাংবিধানিক নেতা হিসেবে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র ঘোষণা তথা স্বাধীরতার ঘোষণা দিয়েছেন। স্বাধীনতার ঘোষণা করা নৈতিক, রাজনৈতিক এবং জনসমর্থন কেবল মাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবেরই ছিল।
হুইপ আরো বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে নিয়ে তাঁর কন্যা বাংলার মহান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শী দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় জয়পুরহাট জেলাকে আগামী ৫বছরে দেশের মধ্যে একটি রোল মডেল জেলা হিসেবে উন্নীত করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিন আহম্মেদ চৌধুরী ও গোলাম হক্কানী, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জয়পুরহাট পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, কালাই উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন সহ অন্যরা।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ব্যতিক্রমী ওই রাজনৈতিক ক্যাম্পে কালাই ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলার প্রায় ২০ হাজার নেতা কর্মী অংশ নেয়।
ইন্দোবাংলা/এম. আর