বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ অপরাহ্ন
“পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব পানি দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘Accelerating change to solve the water and sanitation crisis’ বৈশ্বিক পানি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও স্যানিটেশন নিশ্চিতের প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বিশুদ্ধ, নিরাপদ ও সুপেয় পানি মানুষসহ বিশ্বের সকল প্রাণিকুলের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। উৎস হতে সমুদ্র অবধি পানির অবারিত প্রবাহ ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমেই পানির সুষম প্রাপ্যতা ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সম্ভব। নদীমাতৃক বাংলাদেশে মনুষ্যসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক নানাবিধ কারণে পানীয় জল ও স্যানিটেশনের সংকট বিদ্যমান। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার নদী ও খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলাধার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এছাড়া নদীর তীর সংরক্ষণ, পানি অবকাঠামো সংস্কার করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ভূমি পুনরুদ্ধার, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং পরিবেশ ও প্রতিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা চলমান। স্থানীয় পর্যায়ে উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের জলাধারসমূহে বছরজুড়ে পানি সংরক্ষণ পরিকল্পনা এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আমি প্রাকৃতিক সম্পদ পানির পরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সরকারি-বেসরকারি সকল সংস্থাকে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কার্যক্রমের সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক ।”
ইন্দোবাংলা/এম. আর