শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থ আত্নসাৎ, দুই বছর বেতন বাড়বে না সমাজসেবা কর্মকর্তার

দেশে করোনাকালীন ৪ কোটি তামাক ব্যবহারকারী মৃত্যু ঝুঁকিতে

নিউজ ডেস্কঃ মঙ্গলবার (২ জুন) প্রজ্ঞা ও আত্মা’র যৌথ উদ্যোগে ‘কেমন তামাক কর চাই, বাজেট ২০২০-২১’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানানো হয়। এই সূত্রে নতুন অর্থবছরে তামাক পণ্যের ব্যবহার কমাতে দাম বাড়ানোর সুপারিশ জানানো হয়েছে।
এতে অংশ নিয়ে একাধিক সংসদ সদস্য ও অর্থনীতিবিদ জানান, আসন্ন বাজেটে কার্যকরভাবে তামাক পণ্যের দাম বাড়ানো হলে তামাকের ব্যবহার কমবে এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। বাড়তি এ রাজস্ব সরকার করোনা মোকাবিলা ও প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যয় করতে পারবে।
ওয়েবিনারে প্রজ্ঞা’র পক্ষ থেকে তামাক কর সংক্রান্ত ‘বাজেট প্রস্তাব ২০২০-২১’ তুলে ধরা হয়। এ বাজেট প্রস্তাব সমর্থন করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, করোনা আমাদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি করেছে।  আমরা এ সুযোগে কল্যাণের পথ বেছে নেব। এ ক্ষেত্রে আমাদের তামাক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

আলোচনায় তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, যদি আসন্ন বাজেটে তামাকপণ্যে কর আরোপের ক্ষেত্রে কোনো মৌলিক পরিবর্তন না আসে, বাড়তি ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের সুযোগ যদি আমরা হারাই, আর এতো মৃত্যু ও অসুস্থতা অব্যাহতই থেকে যায়, তাহলে আমি নৈতিকভাবে এ বাজেটকে সমর্থন করতে পারি না।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ’র (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, ধূমপান কমাতে সিগারেটের স্তর সংখ্যা কমানোর বিকল্প নেই। আসন্ন ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটের বিদ্যমান চারটি মূল্য স্তর বিলুপ্ত করে দুটি নির্ধারণ করা দরকার।
কারণ একাধিক মূল্য স্তর এবং বিভিন্ন দামে সিগারেট কেনার সুযোগ থাকায় ভোক্তা স্তর পরিবর্তন করার সুযোগ পায়। ফলে তামাক ব্যবহার হ্রাসে কর ও মূল্য পদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করে না। এর পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাজেটে বিড়ির কর না বাড়ানোর পক্ষে সংসদ সদস্যদের কাছে ব্যবসায়ীদের চিঠি পাঠানকে দুঃখজনক অভিহিত করে অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, তামাকের বিপক্ষে আমাদের শক্তি আরো জোরালো করতে হবে।
প্রস্তাবিত কর ও দাম বাড়ানোর সুপারিশ সমর্থন করে তিনি আরো বলেন, এবারের বাজেট অধিবেশনে কমপক্ষে ১৫০ সাংসদকে এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের পক্ষে কথা বলার জন্য উদ্বুদ্ধ করব।
বাংলাদেশে মোট তামাক ব্যবহারকারীর অর্ধেকেরও বেশি ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য ব্যবহার করলেও এসবের দাম সস্তা এবং রাজস্ব আয় খুব কম উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যে করারোপের ভিত্তিমূল্য খুব কম, তাই কর বাড়ানোর পাশাপাশি মূল্যও বাড়াতে হবে। এ ছাড়া তিনি অপ্রাতিষ্ঠানিক অর্থাৎ লাইসেন্সবিহীন উৎপাদনকারীদের কর জালের আওতায় আনার সুপারিশ করেন।
তামাকপণ্যে করারোপ বিষয়ে সাংসদদের সারা বছর ধরেই জোরালো ভূমিকা পালন করা উচিত উল্লেখ করে আলোচনায় ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সংসদ সদস্যরা অধিবেশন চলাকালে বিভিন্ন ধারায় বছর জুড়েই তামাক বিষয়ে সংসদে প্রশ্ন এবং আলোচনা করতে পারেন। তামাককে ব্যয়বহুল করে ফেলতে হবে। এতে রাজস্ব বেশি আসবে আবার তামাকপণ্য ব্যবহারে মানুষ নিরুৎসাহিতও হবে।
তামাকপণ্যের ওপর বিদ্যমান করকাঠামো সংস্কার ও এর সুফলের ওপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ’র (বিআইআইএসএস) রিসার্চ ডিরেক্টর ড. মাহফুজ কবীর বলেন, তামাকপণ্যে করারোপ সহজ করতে সম্পূরক শুল্কের একটি অংশ সুনির্দিষ্ট কর আকারে আরোপ করতে হবে এবং অন্যান্য কর পদক্ষেপের সঙ্গে সব ধরনের তামাকপণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ৩ শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ করা যেতে পারে।
সব মিলিয়ে, তামাক-কর বিষয়ক এই প্রস্তাব বাস্তবায়ন করা হলে সম্পূরক শুল্ক এবং ভ্যাট বাবদ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত রাজস্ব এবং সারচার্জ থেকে আরো প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব আয় অর্জন করা সম্ভব হবে। এই অর্থ সরকার তামাক ব্যবহারের ক্ষতি হ্রাস, করোনা মহামারি সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ব্যয় এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কাজে লাগাতে পারবে।

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি