বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে এমন কিছু মানুষকে অন্তত এক বছর পর্যবেক্ষণে রাখতে চায় যুক্তরাজ্য। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস দীর্ঘমেয়াদে কী কী ক্ষতি করে তা দেখতেই তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের বিষয়ে যে তথ্য জানা গেছে তাতে দেখা গেছে—ফুসফুস ছাড়াও শরীরের গুরুত্বপূূর্ণ অংশ যেমন হূদপিণ্ড, লিভার, কিডনিসহ শরীরের অন্য অংশগুলোতে আক্রমণ করে ভাইরাস। তবে যারা এই ধরনের সমস্যার পরও সুস্থ হয়ে উঠছে তা এখনো অজানা। দুই বছর ধরে চলবে এই গবেষণা। আশা করা হচ্ছে, এই গবেষণা থেকেই করোনা ভাইরাস সম্পর্কে অজানা অনেক প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে।
দ্য কভারস্ক্যান ট্রায়াল নামের এই জরিপে এখন পর্যন্ত ৫০০ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যারা করোনা ভাইরাস থেকে আরোগ্য লাভ করেছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে তাদের শরীরে কোনো ধরনের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয় কিংবা হৃদপিণ্ড, লিভার এবং কিডনির মতো শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশে কোনো ক্ষতি হয় কি না তা জানা যাবে এই গবেষণা থেকে। এই প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সুস্থ হওয়া রোগীদের এমআরআই করে শরীরের অবস্থা লিপিবদ্ধ করা হবে। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত এসব রোগীদের পর্যবেক্ষণ করে আবারও এমআরআই করে শরীরের অবস্থার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হবে। এর আগে সার্সের সময়ও এই ধরনের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছিল সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের অর্ধেকেরই হূিপণ্ডে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত এই গবেষণায় যুক্ত বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞানী ডা. ম্যাট কেলি বলেন, এটি জানতে পারলে আগে থেকে এমন কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যাবে যা অনেক রোগীর জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কোভিড-১৯-এর ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত কিছু জানা না থাকায় প্রাণহানির সংখ্যা অনেক বেশি। গবেষণার জন্য যে রোগীদের রাখা হয়েছে তাদের লন্ডনের মায়ো ক্লিনিক হেলথকেয়ারের অধীনে পর্যবেক্ষণ করা হবে। করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের থেকে প্রাপ্ত এই তথ্য পরবর্তী সময়ে অন্যদের ক্ষেত্রেও কার্যকরী চিকিত্সা পদ্ধতি খুঁজে পেতে দারুণ সহায়ক হবে বলেও মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।—ডেইলি মেইল