বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০২ অপরাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ২ কোটি টাকা লুটপাট প্রধান শিক্ষকের মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী

নির্মানাধীন স্হাপনায় চাঁদাবাজী বন্ধে প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার

ময়না টিভি সংবাদাতাঃ কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে পুলিশ সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ পুলিশের মোট ১১ হাজার ৪৩১ জন সদস্য আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। সংক্রমণের শুরু থেকে একক পেশা হিসেবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। এরই মধ্যে আরও একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঁঞা। বগুড়ায় নির্মাণাধীন স্থাপনা এবং জোর করে বাড়ির মালিককে নির্মাণ সামগ্রী কেনায় বাধ্য করার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এসব দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে পুলিশের এ্যাকশন। পাশাপাশি বাড়ির মালিকদের নির্মাণ কাজ নির্বিঘ্নে চালিয়ে নিতে সব ধরনের আইনি নিরাপত্তাজনিত সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
জোর করে বালু ও নির্মাণসামগ্রী সরবরাহকারী এবং চাঁদাবাজের সঙ্গে জড়িত একশ জনের একটি তালিকা করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে প্রতিটি নির্মাণাধীন বাড়ি ও স্থাপনার সামনে সতর্ক বার্তামূলক সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৮০০টি নির্মাণাধীন স্থাপনার সামনে এই সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে পুলিশ। ঐ সাইনবোর্ডে লেখা থাকছে, এই বাড়ির নির্মাণ কাজ বগুড়া জেলা পুলিশ পর্যবেক্ষণ করছে। এতে করে দীর্ঘ এক যুগ ধরে চলে আসা বালু নিতে বাধ্য করার ব্যবসার অবসান ঘটবে বলেই প্রতিয়মান হচ্ছে।
এমন ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি ফিরেছে নিরীহ বাসিন্দাদের মধ্যে। গণমুখী পুলিশিং-এর মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করতে পুলিশের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
গত এক যুগ ধরে বগুড়া শহর ছাড়াও জেলার সর্বত্র বাড়ি অথবা যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু হলেই স্থানীয় কিছু বালু ব্যবসায়ী জোরপূর্বক সেখানে বালু সরবরাহ করার অভিযোগ ছিল। এর ফলে বগুড়া শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নির্মাণ কাজে কেউ তাদের পছন্দমত স্থান থেকে বালু কিনে নির্মাণ কাজ করতে পারেননি এতদিন। বালু সরবরাহ নিয়ে আভ্যন্তরীণ কোন্দলে গত এক যুগে নিজেদের মধ্যে অসংখ্য খুনের ঘটনাও ঘটেছে। এখন থেকে এ অবস্থার অবসান হবে বলে আমরা আশা করি।
পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, এ ঘটনায় তা আরেকবার প্রমাণ হলো। এছাড়া পুলিশ চাইলে যেকোন অপরাধ কঠোরভাবে দমন করা সম্ভব, তাও প্রমাণিত। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমাদের আশাবাদ। একইসঙ্গে এমন কঠোর উদ্যোগ দেশব্যাপী যেন ছড়িয়ে পড়ে, সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে পুলিশে সংশ্লিষ্টরা নিজ উদ্যোগে তা বাস্তবায়ন করতে পারেন। এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিতে পুলিশ কর্তৃপক্ষও এদিকে নজর দেবেন বলে আমরা সচেতন মহল আশাবাদী।

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি