সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে আহত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক তাকবির ইসলাম খান চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনুমানিক দুপুর ৩ ঘটিকায় মৃত্যু বরণ করেন । ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে তাকবির ইসলাম খান (আইসিইউ)তে মারা যান।
তিনি আরো বলেন, “গত ১১ মার্চ আনুমানিক রাত ৮ টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকবিরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, হার্টের সমস্যা এবং বুকে আঘাতের কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে।
“পরে অবস্থার আরও অবনতি হলে সোমবার সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্রলীগ নেতা জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলার ধুনট উপজেলায় ছাত্রলীগের একটি সমাবেশে যাওয়ার পথে মোটর সাইকেলে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। শহরের জিলা স্কুলের প্রাচীর ঘেঁষে থাকা পার্কিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে; এতে দুই পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাকবিরের সঙ্গে থাকা তার সমর্থকদের অভিযোগ ছিল, সরকরি আজিজুল হক কলেজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রউফের নেতৃত্বে তাকবিরসহ অন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এই ঘটনার বেপারে বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির বলেন, ঘটনার তিনদিন পর ১৩ মার্চ দুই পক্ষের পক্ষ থেকে বগুড়া সদর থানায় পাল্টাপাল্টি পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাকবীর ইসলাম খানের মা আফরোজা ইসলাম বাদি হয়ে আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনের নামে মামলা করেন।
ওসি আরো বলেন, তাকদিরের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর এ ঘটনার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।