মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৭ অপরাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থ আত্নসাৎ, দুই বছর বেতন বাড়বে না সমাজসেবা কর্মকর্তার

বগুড়ায় ধানকাটা শ্রমিকের তীব্র সংকট : হেলে পড়া ধানে অঙ্কুর গজাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার কয়েকটি উপজেলায় বোরো ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে। এরই মধ্যে ধানকাটা শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি দাম দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না শ্রমিক। আর যেসব কৃষকের ধান কালবৈশাখি ঝড়ে হেলে পড়ে অঙ্কুর গজাতে শুরু করেছে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের ধান মেশিনেও কাটা যাচ্ছে না। ধান ঘরে তুলতে হন্যে হয়ে শ্রমিক খুঁজছেন তারা। বগুড়ায় এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে মাঝে দুটি কালবৈশাখি ঝড়ে কিছু জমির ধান হেলে গেছে। ওইসব জমিতে পানি জমে থাকায় হেলা ধানে অঙ্কুর গজাতে শুরু করেছে। এইসব জমিতে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ধান কাটতে না পারলে সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছেন তারা। বগুড়া সদরের কৈচর এলাকার কৃষক আমিন আলী জানান, তাদের পাথারের ধান পেকে গেছে। ঈদের পর থেকে ধান কাটতে শ্রমিক খুঁজছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, আগে ধান কাটতে দল বেঁধে শ্রমিক আসতো পূর্ব অঞ্চল থেকে। এখন আসে না। প্রতি বিঘা ধান কাটা মাড়াইয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। কাহালুর শীতলাইয়ের কৃষক হযরত আলী জানান, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজ খুব কষ্টসাধ্য। আয়ের অনেক পথ বের হওয়ায় মৌসুমী ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া এখন দুষ্কর। নন্দীগ্রামের কৃষক আরিফ হোসেন জানান, তাদের উপজেলায় ধান কাটার ভরা মৌসুম চলছে। ধান কাটা শ্রমিক না পেয়ে তারা নিজেরাই দলবেঁধে একে অপরের জমির ধান কাটছেন, মাড়াই করছেন। সেখানে কিছু কিছু জমির ধান মেশিন দিয়েও কাটা হচ্ছে। তবে তা খুবই সীমিত। বগুড়া শহরতলীর পালশার গরিব কৃষক রাশিব মিয়া জানান, তিনি ঋণ নিয়ে দেড় বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। তার ধান পেকেও গেছে কিন্তু টাকার অভাবে কাটতে পারছেন না। তিনি বলেন, স্থানীয় অনেকেই বেশি মজুরিতে ধান কাটছেন। প্রতিদিন ধান কাটতে একেকজন ১ হাজার থেকে ১২শ’ টাকা মজুরি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, এত টাকা দিয়ে যদি ধান কেটে নেই তবে যে ধান পাব তাতে আমার ঋণও পরিশোধ হবে না। ঘরে ৬ মাসের চালের খোরাকও মিটবে না। তাই তিনি মহাদুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

জয়পুরহাট কালাই থানা থেকে বগুড়ায় আসা একটি ২৫ জনের ধান কাটা শ্রমিকের দল তাদের সর্দার আলম হোসেন জানান, প্রতিবছর তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় এক বিঘা জমির ধান কাটতাম এতে তেমন কষ্ট ছিল না। ধান জমিতে পড়ে গিয়েছে এবছর প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। তবুও কষ্ট হচ্ছে বেশি।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বগুড়া জেলায় এবার ১ ল ৮৭ হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩ শতাংশ জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে পেরেছে কৃষক। এবার ধানের উৎপাদন ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ ল ৭ হাজার ৬২৩ মেট্রিক।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, ধান পেকে যাওয়ায় একসঙ্গে সবারই শ্রমিকের চাহিদা দেখা দিয়েছে। যে কারণে এখন শ্রমিক কিছুটা সংকট। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যে সুনামগঞ্জসহ আরো অনেক জায়গাতেই ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে তখন কিন্তু ওই শ্রমিকদের অনেকেই এদিকে আসবে। সুতরাং বলা যেতে পারে আগামী সপ্তাহ থেকে শ্রমিক সংকট থাকছে না। ফলে এখন যে শ্রমিকদের মজুরী একটু বেশি তখন কিছুটা কমবে।

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি