শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থ আত্নসাৎ, দুই বছর বেতন বাড়বে না সমাজসেবা কর্মকর্তার

‘মুসকিল লীগ’এর আবেদন করে আলোচনা মেকার রতন!

নাম ‘মুসকিল লীগ’। এই নামে একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পেতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন ওবায়দুল ইসলাম ওরফে রতন। পেশায় মাইক্রোবাসের মেকার এই ব্যক্তি। মুসকিল লীগের আবেদন চেয়ে তিনি এখন বেশ আলোচিত।

ওবায়দুল ইসলাম রতনের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার উপর শিয়ালা গ্রামে। পরিবার ও এলাকার লোকজন বলেছেন, রতন মানসিক রোগী। তবে সৎ ও পরোপকারী। চার ভাইবোনের মধ্যে রতন তৃতীয় সন্তান।

জানা গেছে, রতনের মা মাহমুদা বেগম রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওর্য়াডের সদস্য ছিলেন। তাঁর তৃতীয় ছেলে রতন নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এরপর দিনাজপুরের ফুলবাড়ি এলাকায় একটি মাইক্রোবাস গ্যারেজ মেকানিক কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে রাজশাহীতে চলে যান। সেখানে একটি গ্যারেজে কাজ করেন। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসেন। পাঁচ বছর আগে বাড়ি এসে তিনি মুসকিল লীগের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে পোষ্টার ছাপিয়ে আনেন। এখনো সেই পোষ্টারগুলো বাড়িতে তার মা মাহমুদা বেগম সংরক্ষণ করে করেছেন। সম্প্রতি মুসকিল লীগ দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পর আলোচনায় আসেন রতন।

রতনের মা বলেন, আমার এক মেয়েকে পাশের চিয়ারীগ্রামে বিয়ে দিয়েছিলাম। আমার মেয়ে এক কন্যা সন্তান জম্ম নেয়। তিন মাসের নাতনিকে নিয়ে আমার মেয়ের চলে আসে। তখন রতন তার বোনের সঙ্গে তিন মাসের ভাগনিকে দেখে মুসকিল বলে। তখন রতন তার ভাগনির নামও মুসকিল রাখে। একারণে দলের নাম মুসকিল লীগ রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের দিকে রতন ভোটে দাঁড়াবে বলে পোষ্টার ছাপিয়ে আনে। তখন আমি তাকে কিছুদিন শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলাম। সম্প্রতি সে আবারও দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।

রতনের বড় ভাই এনামুল হক বলেন, রতন মানসিক রোগী। তবে কেউ তার কথার্বাতায় সেটি বুঝতে পারবে না। রতন নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার পর মাইক্রোবাসের মেকারি করে। রতন এখন রাজশাহীতে থাকে। মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে দু একদিন থেকে আবার চলে যায়। অনেক আগে থেকেই মুসকিল লীগ নামে পোষ্টার ছাপাতো। মুসকিল লীগ নামে দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে বলে জেনেছি।

প্রতিবেশি নুরুল ইসলাম বলেন, রতন একটা পাগল। সে গ্রামে থাকে না। সে মুসকিল লীগ নামে একটি দলের নিবন্ধনের আবেদন করেছে। রতনের খোঁজে লোকজন গ্রামে আসছে।

ওবায়দুল ইসলাম রতনের বলেন, দেশের পরিস্থিতির কথা ভেবে আমি কোন ব্যানার টাঙ্গায়নি। তাছাড়া সারাদেশে আমার ভক্ত রয়েছে। ব্যানার টাঙানোর পর কোন ঘটনা ঘটলে এটি আমার ও আমার কর্মীদের উপর চাপ পড়বে। আমি নিবন্ধন পেলে নির্বাচনে পাস করবো।

তিনি বলেন, আমি মেকারির কাজ করার সময় বিভিন্নজন কাজ দিতো। সেসব কাজ বেশ মুসকিল হতো। আর এ থেকেই মুসকিল নামটা মাথায় ঘুরতো। তাছাড়া আমার ভাগ্নির নামও মুসকিল রেখেছি। তাই এবার মুসকিল লীগ নামের দালের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছি।

ইন্দোবাংলা/এম. আর

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি