মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন
মো: ইমাম হাসিম বর্তমানে জয়পুরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জয়পুরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: ইমাম হাসিমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) এর বিধি অনুযায়ী, ‘অসদাচরণ’ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। এ জন্য সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৪(২)(খ) অনুযায়ী ‘দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত’ লঘুদণ্ড’ প্রদান করা হলো। জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা মুঠোফোনে বলেন, চিঠিটা মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকলে আপনার (সাংবাদিক) তো সমস্যা না। মন্ত্রণালয় দিয়ে থাকলে তারা জানবে বিষয়টি।
জয়পুরহাট জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ইমাম হাসিমের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন। এছাড়া ওই কর্মকর্তা বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় উপজেলা সমাজসেবা অফিসার হিসেবে কর্মকালে বিভিন্ন ভাতার অর্থ কেন্দ্রীয় হিসাব থেকে সংরক্ষণের জন্য ‘বয়স্কভাতা আনুতোষিক’ শিরোনামে সোনালী ব্যাংক শেরপুর শাখায় হিসাব স্থানান্তর করেন। ওই কর্মকর্তা ভাতার অর্থ বিতরণের মাষ্টাররোল সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে একক স্বাক্ষরে হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করেন।
সমাজসেবার এই কর্মকর্তা নীলফামারী জেলায় কর্মকালে ‘বেদে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনিয়ম করেন। তিনি হলরুম ভাড়ার জন্য বরাদ্দকৃত ২০ হাজার টাকা এবং প্রশিক্ষকের সম্মানীভাতার ৫৮ হাজার সহ মোট ৭৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিধি বহির্ভূতভাবে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অমান্য করে জয়পুরহাট সদর উপজেলার প্রবেশন অফিসার সাদিকুর রহমান মন্ডলের পরিবর্তে শহর সমাজসেবা অফিসার শারমিন সুলতানাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদানের অভিযোগ ওঠে।
ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ৩(খ) অনুযায়ী “অসদাচরণ এর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। এতে তিনি ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করেন। শুনানি গ্রহণ শেষে তার বক্তব্য সন্তোষজনক না হওয়ায় অভিযোগের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। সেই সাথে উপ-পরিচালক মো: ইমাম হাসিমের “দুই বছরের জন্য বেতন বৃদ্ধি স্থগিত” করে লঘুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।