রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জয়পুরহাট সদর উপজেলা পরিষদের মোহাম্মদ মুজিবর রহমান ঢালী স্মৃতি মিলনায়তনে মতবিনিময় ও গণশুনানীতে অংশ নিয়ে সমবায়ীরা ক্ষোভ জানান।
গণশুনানীতে অংশ নেওয়া সমবায় সমিতির সদস্যরা জানান, জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন সিরাজীর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়। এছাড়া যুগ্মনিবন্ধকের কাছে জেলা সমবায় কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। তিনি নিজেও দীর্ঘদিনে অভিযোগের প্রতিকার নিয়ে কোন ব্যবস্থা নেননি। জেলায় হাজারো সমবায় সমিতির নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এসব সমিতির নামে সুদের ব্যবসা করা হচ্ছে। আবার আমানতও সংগ্রহ করছে। জেলা সমবায় কর্মকর্তা এ জেলার সমবায় ব্যবস্থাকে নষ্ট করেছে। জেলা সমবায় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে যুগ্মনিবন্ধকেরর কার্যালয়ে একাধিক বার লিখিত অভিযোগ দিয়ে কোনো সুফল মেলেনি। এসময় যুগ্মনিবন্ধক সমবায়ীদের তোপের মুখে পড়েন।
আখ চাষী সমবায় সমিতির সভাপতি সুমন মিয়া বলেন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা যোগদানের পর সমবায়ের কোয়াটারে থাকছেন। তার কাছে ৩৪ মাসের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। তিনি ভাড়া দিচ্ছেন না। গণশুনানী অনুষ্ঠানে যুগ্ম নিবন্ধকের উদ্দেশে বলেন, আপনি মতবিনিময় ও গণশুনানী করছেন। আপনার বিরুদ্ধেই আমার অভিযোগ। আপনার কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছি। আপনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। আপনারা সবাই তো একই। লোক দেখানো এসব মতবিনিময় ও গনশুনানী করে কি লাভ? আমরা তো কোনো প্রতিকার পাইনি।
যুগ্মনিবন্ধক মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, সব ব্যর্থতার দায় আমার নিজের। আপনারা যে সব বিষয় অভিযোগ করেছেন তা দেখা হবে। একাই সবকিছু দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আপনারা সহযোগিতা করলে এসব অভিযোগের প্রতিকার সহজেই করা যাবে। ডিসিও প্রসঙ্গে তিনি তোপের মুখে পড়ে বলেন, তারও বিচার হবে।
জেলা সমবায় কার্যালয় আয়োজিত এ মতবিনিময় ও গণশুনানীতে রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের যুগ্মনিবন্ধক মো: মোখলেছুর রহমান প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোছা. মর্জিনা বেগম, জেলা সমবায় পরিদর্শক ওহায়েদুজ্জামান সহ জেলার বিভিন্ন সমবায় সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সদস্য উপস্থিত ছিলেন।