বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
ময়না টিভি সংবাদাতাঃ নন্দীগ্রামে সেই ধর্ষক হাফেজ রুহুল কুদ্দুস (৫৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত রুফিক উদ্দিনের ছেলে। রোববার দুপুরে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, শিশুটি এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাওয়ার আগে প্রতিদিন সকালে এলাকার অন্য শিশুদের সঙ্গে সেও গ্রামের হাফেজ রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। সেদিন হাফেজের বাড়িতেও পরিবারের লোকজন কেউ ছিল না। এই সুযোগে পড়াশেষে সবাইকে ছুটি দিলেও শিশুটিকে (১২) ছবক নেবেন (পড়া ধরবেন) বলে হাফেজ রুহুল কুদ্দুস তাকে বসতে বলে। অন্য শিশুরা চলে যাওয়ার পর লম্পট হাফেজ তাকে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি চিৎকার করতে থাকলে তার মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে লম্পট হাফেজ রুহুল কুদ্দুস। এভাবে বেশ কয়েকবার শিশুকে ধর্ষণ করা হয়। এক পর্যায়ে ধর্ষণের কথা কারো কাছে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে ওই হাফেজ শিশুকে ভয় দেখায়। এই ভয়ে শিশু বাড়িতে পরিবারের কাউকে জানায়নি। সম্প্রতি ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরে গত ৪ জুলাই নন্দীগ্রাম হেলথ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে শিশুটির আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। ওই রিপোর্টে মেয়েটিকে তিন মাসের গর্ভবতী বলে উল্লেখ করা হয়।
এই ঘটনায় গত শুক্রবার শিশুর বাবা বাদী হয়ে লম্পট হাফেজ রুহুল কুদ্দুসকে আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। সে মামলায় রোববার ভোরে থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শওকত কবিরের নেতৃত্বে এসআই ফারুক হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নওগাঁ সদর থানার হাপুনিয়া দীঘিপাড়া এলাকা থেকে ধর্ষক হাফেজ রুহুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির জানান, ধর্ষক হাফেজ রুহুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।