বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থ আত্নসাৎ, দুই বছর বেতন বাড়বে না সমাজসেবা কর্মকর্তার

সুন্দরগঞ্জে নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছে কৃষক

যমুনা নিউজ বিডিঃ  নবান্ন উৎসবে মেতে উঠেছে কৃষক-ককৃষাণীরা। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বোরো ধান কাটামাড়াইয়ে। দিনমজুর সংকটে ক্ষেতের পাঁকা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষকরা। কোন উপায় না পেয়ে মেশিন দিয়ে ধান কাটামাড়াই করছে কৃষকরা। স্বপ্নের ধান ঘরে তুলতে পরিজন নিয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে ফসল ঘরে তোলার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছে কৃষক-কৃষাণীরা। কালবৈশাখী ঝড়ের হাত থেকে পাঁকা ধান রক্ষা করার জন্য চড়াদামে দিনমজুর এবং ভিন্ন জেলা হতে মেশিন নিয়ে এসে ধান কাটামাড়া চলছে পুরোদমে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেলে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২৬ হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরোদমে ধান কাটামাড়াই শুরু করেছেন কৃষকরা। বিশেষ করে তিস্তার চরাঞ্চলে ফলন সবচেয়ে ভাল হয়েছে।

তারাপুর ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল ইসলাম জানান, তিনি ৪বিঘা জমিতে বোরো চাষাবাদ করেছে। দিনমজুর সংকটে পাঁকা ধান ঘরে তুলতে পারছি না। প্রতিবিঘা জমিতে চারা রোপন থেকে শুরু করে কাটামাড়াই পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ১৪ হতে ১৫ মণ। বর্তমান বাজারে প্রতিমন ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা দরে। ধানকাটা মেশিন হারবেস্টার কমবাইন্ড দিয়ে প্রতিবিঘা জমির ধান কাটামাড়াই করার জন্য দিতে হচ্ছে ২ হাজার ৩০০ হতে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এদিকে দিনমজুর দিয়ে কাটামাড়াই করতে খরচ হচ্ছে ৪ হাজার হতে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। তিনি আরও বলেন মেশিন দিয়ে ধান কাটামাড়াই করার পর ক্ষেত থেকে খড় (পল) সরানোর জন্য দেড় হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সব মিলে মেশিনের চেয়ে দিনমজুর দিয়ে ধান কাটা মাড়াইয়ে অনেক সুবিধা রয়েছে।

দিনমজুর ফরমান আলী জানান, এখন অনেকে ধান কাটামাড়াইয়ের কাজ না করে আটো ভ্যান চালাচ্ছে। সে কারনে দিনমজুরের সংকট দেখা দিয়েছে। দিন হাজিরা দিয়ে এখন আর পোষাই না। সে কারনে চুক্তি নিয়ে কাটামাড়াই করা হচ্ছে। প্রতিবিঘা জমি কাটামাড়াইয়ের জন্য ৪ হাজার টাকা নেয়া হচ্ছে।

ধান কাটামাড়াই মেশিনের মালিক মিলন মিয়া জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরার্মশক্রমে প্রণোদনার ভিত্তিতে ২৮ লাখ টাকা দিয়ে গত দুই বছর আগে হারভেস্টার কমবাইন্ড মেশিন ক্রয় করেছি। এখন পর্যন্ত মেশিনের টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। কৃষকরা মেশিন দিয়ে ধান কাটামাড়াই করতে চায় না। কৃষকদের মাঝে সচেতনতার অভাব রয়েছে। বর্তমানে প্রতিবিঘা জমি আড়াই হাজার টাকায় কাটামাড়াই করা হচ্ছে। একটি মেশিন চালাতে চালকসহ ২ জন শ্রমিক লাগে। তাছাড়া তেলের দাম অনেক বেশি।

উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, চলতি মৌসুমে বোরো ধানের ফলন অত্যন্ত ভাল হয়েছে। ইতিমধ্যে পুরোদমে কাটামাড়াই শুরু করেছে কৃষকরা। দিনমজুর নেই বললে চলে, উচ্চ বিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির কৃষকরা এখন বর্গা দিয়ে চাষাবাদ করছে। দিনমজুর শ্রেনির কৃষকরা বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করছে। সে কারনে দিনমজুর সংকট দেখা দিয়েছে। তবে মেশিনের সাহায্যে কাামাড়াইয়ে অনেক সুবিধা রয়েছে।

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি