বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা, পরববর্তীতে জেলখানায় চার নেতা হত্যা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা চেষ্টার অর্থ ছিলো বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে পাকিস্তান বানানো। ১৫ আগস্টএবং২১ আগস্টের ঘটনার সাথে স্বাধীনতাবিরোধী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক শক্তির হাত রয়েছে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে, স্বাধীনতার সপক্ষের সকল শক্তিকে সোচ্চার হতে হবে।
মন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে ডিজিটাল প্লাটফর্মে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম আয়োজিত ‘আমি বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলেন, প্রাথমিক ও কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন, পরমাণু শক্তি কমিশন গঠন করেছিলেন। দেশের প্রায় প্রতিটি সেক্টরকে যুগের চাহিদা মেটানোর উপযোগী করে গড়ে তোলার উদ্যোগ তিনি গ্রহণ করেছিলেন। বস্তুত পক্ষে একবিংশ শতাব্দির আজকের জীবনযাপন এবং ’৪১ সালে যেখানে বাংলাদেশ পৌঁছাবে তার বীজ বপন করে গিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে আঠারো বছরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথ বেয়ে তা অংকুরিত করে বৃক্ষে রূপান্তরিত করেছেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লব যে বাংলাদেশ মিস করেছে সেই বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ এবং ইউপিইউ‘র সদস্য পদ অর্জন করেছিল বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের হাত ধরে। বঙ্গবন্ধু সূচিত তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের এই অভিযাত্রা পঁচাত্তরের পর দীর্ঘ ২১ বছর থেমে থাকে। বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশেকে পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত করেছেন। বাংলাদেশ ডিজিটাইজেসনে আজ পৃথিবীর অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর পিতৃভূমি কেনিয়াকে এগিয়ে নিতে এবং ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ডিজিটাল ইন্ডিয়া বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে অনুসরণের কথা যখন বলেন তখন আমাদের গর্ব হয়।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম জাতীয় কমিটির সভাপতি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব মো: আবুল কালাম আজাদ. বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাস্কৃতিক ফোরামের নির্বাহী সভাপতি মো: আবদুস সামাদ, তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ মান্নান, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর এবং বৃহ্ত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সেক্রেটারি রাশেদুল হাসান শেলী প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন।
ইন্দোবাংলা/আর. এস