শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
দাম বাড়িয়ে তামাকের ব্যবহার কমাতে হবে -ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ইউরোপীয় তৈরি পোশাক আমদানিকারকদের প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ- পরিবেশমন্ত্রী ২০২৫ সালে বাংলাদেশ বিশ্বে টেনিসের অন্যতম জায়গায় অবস্থান করবে- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ২৯ মার্চ থেকে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন -ভূমিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারবে না- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ড. আবদুল মালেক নতুন প্রধান তথ্য কমিশনার বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর হয়েছে- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বিশ্ব পানি দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী বিশ্ব পানি দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী আগামীকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৪ নভেম্বর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

“বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করছে জেনে আমি আনন্দিত। এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে যাত্রা এবং ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মহান স্বাধীনতার পর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কর্মমুখী শিক্ষা চালুর উদ্যোগসহ দেশে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শক্তিশালী ভিত রচনায় নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেন। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) সদস্যপদ লাভ করে। জাতির পিতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণার জন্য ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) ও বেতবুনিয়ায় স্যাটেলাইটের আর্থ স্টেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের দেখানো পথেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করি। ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশে আমরা হাই-টেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেই। আমরা ‘দিন বদলের সনদ-রূপকল্প-২০২১’ অঙ্গীকার অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই একটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হই। এই সময়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব পুরো পৃথিবীর উৎপাদন, বিপণন এবং উন্নয়ন সব ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারে এর বিরাট ভূমিকা থাকবে। এ সকল বিষয় মাথায় রেখে আমাদের সরকার চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশ যেন বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আইসিটি অবকাঠামো, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার পাশাপাশি তারুণ্যের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য সারাদেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ও আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়নের পর আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক সমৃদ্ধিশালী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণ। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা এমনভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে যাতে তা ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০’ এবং ‘রূপকল্প ২০৪১’-এ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহায়ক হয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী ও উদ্যেক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের সরকার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করেছে। পর্যায়ক্রমে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্বদানে সক্ষম করে তোলার জন্য ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করার জন্য মাদারীপুরের শিবচরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ নামে বিশেষায়িত ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। ৬৪ জেলায় স্থাপন করা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইওটি, রোবোটিক্স, সাইবার সিকিউরিটিসহ উচ্চপ্রযুক্তির ৩৩টি বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেন্টার ফর ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভুলিউশন এবং গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যেখানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, বিগ ডেটা অ্যানালাইটিক্স, ব্লকচেইন, রোবোটিক্সসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবন হবে।

আমি বিশ্বাস করি, এই সম্মেলনে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গবেষক, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং ছাত্ররা তাঁদের চিন্তা-ভাবনা এবং উদ্ভাবনী বিষয় নিয়ে মতবিনিময়ের সুযোগ পাবে যা আমাদের ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং ‘ডেল্টা প্ল্যান-২১০০’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পথ দেখাবে।

আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

ইন্দোবাংলা/এম. আর

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২২।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি