শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
“বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে নদীমাতৃক বাংলাদেশের জনগণ ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনের সঙ্গে জড়িত সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। বিশ্ব পানি দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘Accelerating change to solve the water and sanitation crisis’- পানির সঠিক ব্যবহার ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে।
বাংলাদেশের বিস্তৃত ভূখণ্ডের উপর দিয়ে বহমান নদ-নদী, হাওড়-বাঁওড়, বিল-ঝিল, পুকুর-দিঘি, বৈচিত্র্যপূর্ণ বিপুল সংখ্যক ছোট-বড় জলধারার পানি ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিটি পানির ফোটার সর্বোত্তম ব্যবহারই নিশ্চিত করতে পারে সার্বজনীন পানি প্রাপ্যতা, পানির ন্যায়ভিত্তিক বন্টন ও ব্যবস্থাপনা। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রতিটি মানুষকে তাঁর পানি ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পরিবর্তন করার লক্ষ্যে নিজস্ব অবস্থান হতে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করা জরুরি।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনা, স্যানিটেশন, কৃষিকাজ, শিল্পাখাত ও বাস্তুচ্যুত বজায় রেখে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার পানি চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের সরকার পানি অবকাঠামো সংস্কার, নদীর তীর সংরক্ষণ, নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে ড্রেজিং, খাল পুনঃখনন, প্রাকৃতিক জলধার রক্ষণাবেক্ষণ এবং নতুন জলাধার ও ব্যারেজ নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একই সাথে নদীর তীরবর্তী ভূমি পুনরুদ্ধার করে বনায়ন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং জলাবদ্ধতা দূরীকরণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
আওয়ামী লীগ সরকার আগামী ১০০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রণয়ন করেছে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’। অভিযোজনভিত্তিক কারিগরি এবং অর্থনৈতিক এ মহাপরিকল্পনায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস করে পানি সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনা, ভূমি ব্যবহার এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ উন্নয়নের অঞ্চলভিত্তিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও পানি ব্যবহার শৃঙ্খলা প্রবর্তনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জাতীয় পানি নীতি প্রণীত হয়েছে। পানি নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পানি ব্যবস্থাপনার নিয়ম, নীতি ও মানের নিরিখে উন্নয়নগামী দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক চাহিদার সমন্বয় সাধনে সক্ষম হয়েছে। এছাড়া, ভূগর্ভস্থ পানি অতিরিক্ত ব্যবহার বন্ধে নানাবিধ কার্যক্রম গৃহীত হয়েছে।
দেশের প্রতিটি মানুষের ন্যায়সঙ্গত পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সকলের দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী চিন্তা এবং এর যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ তথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ” গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
আমি ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কার্যক্রমের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
ইন্দোবাংলা/এম. আর