সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
ইন্দোবাংলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগাম বন্যা ও পাহাড়ি ঢলের কারণে হাওড়ের ধান ঘরে তোলা নিয়ে প্রতিবছর আমাদের আতঙ্কে থাকতে হয়। সরকার এমনভাবে কাজ করছে যে ২-৩ বছরের মধ্যে হাওড়ের ধান হবে ঝুঁকিমুক্ত ও শঙ্কামুক্ত। পাকা ধান দ্রুত কাটার জন্য ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে হাওড়ে কম্বাইন হারভেস্টার দেয়া হচ্ছে । ফলে হাওড়ের ধান নিয়ে শঙ্কা অনেকটা কমে এসেছে।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার ডেকার হাওড়ে বোরো ধান কর্তন উৎসব ও কৃষকদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিস এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলমান ২০২২-২৩ অর্থবছরে সারা দেশে প্রায় ৫০ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ও সময়মতো ধান ঘরে তুলতে পারলে বোরোতে রেকর্ড উৎপাদন হবে। হাওড়ে বোরো ধান কাটা চলছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে শুধু সুনামগঞ্জেই এক হাজার কম্বাইন হারভেস্টারে ধান কাটা চলছে। আশা করি, ৩০ তারিখের মধ্যেই হাওড়ের ধান কাটা হয়ে যাবে, এবার ধান কাটায় কোনো সমস্যা হবে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, সরকার স্বল্পজীবনকাল সম্পন্ন ও ঠাণ্ডাসহিষ্ণু আগাম জাতের ধান চাষে গুরুত্ব দিচ্ছে। যাতে ১৫ দিন আগেই ধান পাকে। ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছেন। এ জাতগুলো দ্রুত সম্প্রসারণ করতে পারলে হাওড়ের ধান ঘরে তোলা নিয়ে কোনো শঙ্কা থাকবে না। পানি আসার আগেই ঘরে ধান তোলা যাবে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।
এদিকে হাওড়ভুক্ত ৭টি জেলা সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাওড়ে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। হাওড়ে এবছর বোরো আবাদ হয়েছে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমিতে। আর এই ৭টি জেলায় মোট বোরো আবাদ হয়েছে (হাওড় ও উঁচু জমি মিলে) ৯ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ টন চাল।
ইন্দোবাংলা/আর. আর