বৃহস্পতিবার, ০১ Jun ২০২৩, ১২:৩৩ অপরাহ্ন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন অনুযায়ী ১৯টি পণ্যে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার, পাটের বস্তার যোগান ও দেশব্যাপী পরিচালিত অভিযানের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের চাহিদাকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করছি। সেখানে দেশে পাটপণ্য ব্যবহারে শিথিলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা অনভিপ্রেত।
গোলাম দস্তগীর পাট অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, পণ্যে কেউ যদি প্লাস্টিকের ব্যবহার করে তাহলে আইনি ব্যবস্থা আরো জোরদার করতে হবে। দেশব্যাপী সারাবছর অভিযান চলমান থাকলেও বর্তমান পেক্ষাপটে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
মন্ত্রী আশা করেন, আইনটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটের বস্তার চাহিদা সৃষ্টি করা সম্ভব হবে । ফলে স্থানীয় বাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে, পাটচাষীরা পাটের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে এবং সর্বোপরি পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ পাটের শিল্প ও পরিবেশ রক্ষা পাবে ।
সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা আক্তার, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মাহমুদ হোসেন, তসলিমা কানিজ নাহিদাসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় ও পাট অধিদপ্তরের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক আইন, ২০১০’ এবং এর সংশোধন অনুযায়ী ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ-খুদ-কড়া, পোল্ট্রি ও ফিস ফিড-এ পাটজাত মোড়ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ব্যত্যয় হলে অনূর্ধ্ব ১ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থ দণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুন:সংঘটিত হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুন দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
ইন্দোবাংলা/এম. আর