রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বেশ কয়েকজন জঙ্গি ভারতে হামলা করতে ঢুকেছে। এমন সংবাদে সে দেশের স্বাধীনতা দিবসে জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের সব রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
শুক্রবার সকাল থেকে ভারত-বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকার বাসস্ট্যান্ড ও ট্রেন স্টেশন এলাকার বাস ও ট্রেনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ, জিআরপি ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনী৷
পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সীমান্ত এলাকায় বাড়তি তল্লাশি ও নজরদারি করলেও এবার পুলিশ, বিএসএফ, জিআরপি ও গুপ্তচর সংস্থা বেশ সক্রিয় রয়েছে। ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশের এক কর্তার ব্যাখ্যা, জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত৷ আর নদী এলাকা কার্যত খোলা সীমান্ত৷এরপরও খাগড়াগড় ঘটনার চাপতো রয়েছে৷ফলে শুক্রবার থেকে পুলিশ বাজার, স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড ছাড়াও জনবহুল এলাকায় কড়া নজরদারির আওতায় রাখা হচ্ছে৷ যশোর, টাকি ও ৩৪ জাতীয় সড়কের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, হায়দরাবাদ থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী হুজির ছয় সদস্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন’জন বাংলাদেশীও রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্যরা উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত টপকে ভারতে প্রবেশ করে। ফলে পুলিশ, গোয়েন্দাদের সঙ্গে জিআরপি ও বিএসএফ এবার অনেক বেশি সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সাইকেল, অটোরিকশা, ট্যাক্সি, ব্যক্তিগত গাড়ি বাস ও ট্রেন স্টেশনে যাতায়াতকারীদের ব্যাগ ও গাড়ি নানা কৌশলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
শুক্রবার সকালে জিআরপি বোমা নিষ্ক্রিয় যন্ত্র, কুকুর ও ধাতব তল্লাশি যন্ত্র নিয়ে স্টেশন চত্বর পরীক্ষা করে। স্টেশনে ওঠার মুখে যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করা হচ্ছে সারাদিন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ প্রতিটি থানা এলাকায় পুলিশের টহল জিপের সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ লাইন থেকে অতিরিক্ত ফোর্স এনে নজরদারিতে বসিয়েছে।
আর সারারাত পুলিশের জিপ বিভিন্ন রাস্তায় টহল দেবে। এমনকি রাস্তার সংযোগ স্থলে বসান হয়েছে গোপন ক্যামেরা। বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করতে পারে, এই আশঙ্কায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসএফ ও সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) বাহিনী৷ আর উত্তর ২৪ পরগনার নদী সীমান্ত এলাকায় জলযানে চেপে পাহারা দেবে বাহিনীর সদস্যরা৷
শুক্রবার রাত থেকে সাত স্তরের নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হবে দিল্লী ৷ শনিবার সকালে লালকেল্লায় ‘বুলেটপ্রুফ এনক্লোজার’ থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানে ৩০হাজার নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবে৷ কলকাতায় নাশকতা রুখতে বৃহস্পতিবার থেকেই শহরের প্রতিটি প্রবেশ পথ ঘিরে ফেলেছে পুলিশ৷রেড রোডের নিরাপত্তায় নামে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। রাস্তায় টহল দিচ্ছে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ কুকুর৷
অপরদিকে বাংলাদেশ ও নেপাল বা ভুটান সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করতে পারে, এআশঙ্কায় বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসএফ ও সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) বাহিনী৷ স্বাধীনত দিবস উপলক্ষে মুম্বাই, কলকাতা, পাঞ্জাব, চেন্নাইসহ দেশের প্রতিটি বড় শহরে রেড এ্যালার্ট জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।