শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:০২ অপরাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থ আত্নসাৎ, দুই বছর বেতন বাড়বে না সমাজসেবা কর্মকর্তার

পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান শ্রীলংকার প্রেসিডেন্টের

যমুনা নিউজ বিডিঃ শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তার পদত্যাগের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন।

দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম জাতির উদ্দেশে কোনো ভাষণ দিলেন প্রেসিডেন্ট রাজাপাক্ষে। ভাষণে তিনি প্রেসিডেন্টের কিছু ক্ষমতা সংসদের কাছে হস্তান্তর করার প্রস্তাব দেন, যদিও কোনো সময়সীমার কথা বলেননি।

অনেকেই সমালোচনা করছেন যে তার বক্তব্য আসল সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

এর আগে বুধবার রাতে গুজব ছড়িয়ে পড়ে গোটাবায়া রাজাপাক্ষে এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ভারতে পালিয়ে গেছে। সেই খবর আবার কলোম্বোয় ভারতের হাইকমিশন থেকে নাকচ করা হয়।

গোটাবায়া রাজাপাক্ষে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে পারেন এমন সম্ভাবনা থেকে আরো বিক্ষোভকারীরা ত্রিঙ্কোমালির নৌঘাঁটিতে জড়ো হয়েছে।

শ্রীলংকার সেনাবাহিনীও নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে মাহিন্দা রাজাপাকশা বর্তমানে উত্তর-পূর্বের একটা নৌঘাঁটিতে অবস্থান করছেন।

শ্রীলংকাজুড়ে বিক্ষোভ চলছে
এদিকে বিক্ষোভকারীরা কারফিউ ভেঙে দ্বিতীয় রাতের মত বিক্ষোভ করেছে। তাদের দাবি এখন প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ।

একজন বিক্ষোভকারী বিবিসিকে বলেছেন ‘কারফিউ ভেঙে আমাদের এই বিক্ষোভ করতে হচ্ছে কারণ আমাদের কোন উপায় নেই। আমরা এখনো ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। এখানো , কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেল ও বিদ্যুৎ নেই।’

‘গত ৩০ দিন আপনি কোথায় ছিলেন? মানুষের ওষুধ, খাদ্য কিছুই নেই। পুরো দেশ স্থবির হয়ে আছে,’ কলম্বোতে একজন বিক্ষোভকারী কাভিনদ্য থেন্নাকুন বিবিসিকে বলেছিলেন।

‘তিনি [গোটাবায়া রাজাপাক্ষে] যে সংস্কারগুলো প্রস্তাব করছেন, সেগুলো আমাদের প্রয়োজন নেই। আমরা এখন চাই তার পদত্যাগ- গোটাবায়া রাজাপাক্ষে কেন সেটি বুঝতে পারছেন না।’

এদিকে দেশজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কেউ লুটপাট করলে, জীবনের ক্ষতি করলে তাদের গুলি করার। কারফিউ চলাকালে কলোম্বোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলের একটা রিসোর্টে ভাঙচুর করা হয়েছে।

অনেক দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার থেকে এ পর্যন্ত নয় জন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।

সেনা অভ্যুত্থানের গুজব
এদিকে বিরোধী রাজনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, এই সহিংসতা সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের অজুহাত হিসেবে দেখাতে পারে। কলোম্বোর রাস্তায় বিপুলসংখ্যক সৈন্য অস্ত্রসজ্জিত গাড়িবহর দেখে এমন একটা গুজব ছড়ায় যে সেনা অভ্যুত্থান হতে পারে।

প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাক্ষে বলেছেন, তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন, তার উদ্দেশ্য একটা ঐকমত্যের সরকার তৈরি করা।

কিন্তু প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বলেছে, প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তারা অন্তর্র্বতীকালীন প্রশাসনের অংশ হবে না।
খবর বিবিসি

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি