বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
যমুনা নিউজ বিডিঃ ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট তাজমহলের বদ্ধ কক্ষগুলো খোলার দাবিতে একটি পিটিশন নাকচ করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে আদালত আবেদনকারী বিজেপি যুব শাখার নেতা রজনীশ সিংকে কঠোর ভাষায় ভর্ৎসনা করে বলেছেন, আগে গিয়ে পড়াশোনা করেন, তারপর এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনৌ বেঞ্চ বলেছেন, ‘নন-জাস্টিসেবল’ বা বিচারের অতীত বলে কিছু বিষয় আছে। না জেনে মুর্খের মতো মামলা নিয়ে হাজির হওয়া কখনো কাম্য নয়। জনস্বার্থমূলক মামলার নামে এমন অর্থহীন কর্মকাণ্ড জনস্বার্থমূলক মামলা ব্যবস্থাকে উপহাসের শামিল।
তাজমহলের নিচে মন্দির ছিল এবং ওই মন্দিরের মূর্তিগুলো এখনও তাজমহলের বিশটি বদ্ধ কক্ষে সংরক্ষিত রয়েছে দাবি করে বিজেপির রজনীশ সিং কক্ষগুলো খোলার আদেশ দিতে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছিলেন। বিচারপতি ডিকে উপাধ্যায় ও সুভাষ বিদ্যার্থীকে নিয়ে গঠিত আদালত বেঞ্চ আজ সকালে আবেদনের উপর শুনানি নেন। শুনানির শুরুতে আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, তাজমহলের গোপন কিছু সত্য আছে। দেশের মানুষের এ সত্য জানা জরুরি।
এ সময় আবেদনকারী রজনীশ সিং বলেন, আমি তথ্য অধিকার আইনে অনেকগুলো আবেদন করেছি। তাজমহলের নিচে অনেক গোপন জিনিস আছে। এগুলো প্রকাশ হওয়া দরকার। আবেদনের সঙ্গে আমি একটি নিবন্ধ সংযুক্ত করেছি। যেখানে ভবনটির বয়স নিয়ে কথা আছে।
এ পর্যায়ে আদালত আবেদনকারীকে প্রশ্ন করেন, আপনি কি বলতে চান এটা শাহজাহান নির্মাণ করেননি? আপনি কি চান যে তাজমহল কে নির্মাণ করেছেন এবং তাজমহলের বয়স কত সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত দিব? আপনি কি নিজের মনগড়া ইতিহাসে আমাদেরকে নিয়ে যেতে চান? আমরা আপনার আবেদনের প্রসঙ্গে আসি। প্রথমত, আপনি চান তাজমহল নিয়ে তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠনের জন্য আমরা হুকুমনামা জারি করি। দ্বিতীয়ত আপনি চান কক্ষগুলোর দরজা খুলতে আমরা হুকুমনামা জারি করি। কথা হচ্ছে, কেবল অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলেই হকুমনামা জারি হয়।
আদালত আরও বলেন, তাজমহলের বয়স নির্ধারণ আদালতের কাজ নয়। তথ্য অধিকার আইনে আপনি তথ্য চাইতে পারেন। কিন্তু তথ্য অধিকার আইনের কোথায় বলা আছে যে বিশেষ গবেষণার দাবি জানানো যাবে? এম.এ. করেন, পিএইচডি করেন। গবেষণা করেন। কোনো প্রতিষ্ঠান আপনাকে গবেষণা করতে না দিলে, তথ্য না দিলে তখন আমাদের কাছে আসবেন।