শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থ আত্নসাৎ, দুই বছর বেতন বাড়বে না সমাজসেবা কর্মকর্তার

পি কে হালদারের সহযোগীর অবৈধ সম্পত্তির খোঁজে ভারতে অভিযান

যমুনা নিউজ বিডিঃ বাংলাদেশে অর্থপাচার মামলার পলাতক আসামি পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধার সম্পত্তির সন্ধানে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

শুক্রবার ভোরে উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার পোলেরহাটে দুটি বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় সুকুমার মৃধার বেআইনি সম্পত্তির খোঁজে অভিযান শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কর্মকর্তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে এই তল্লাশি চালান বলে জানা গেছে। এ সময় তাদের সঙ্গে প্রচুর নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।

অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, মৃধার একটি বাড়ি থেকে প্রচুর অর্থ পেয়েছে ইডি। তবে এই টাকা কোথা থেকে এসেছে সেই বিষয়ে তারা এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি। ইডি সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত শেষে জব্দকৃত অর্থের উৎস সম্পর্কে তারা নিশ্চিত হতে পারবেন। এর সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থ পাচার মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) জড়িত কিনা তা-ও তদন্ত রিপোর্ট এলে জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে সুকুমার মৃধা বাংলাদেশে বসবাস করলেও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তার অনেক মাছের ভেড়ি আছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ইডি। সুকুমার মৃধার অবৈধ সম্পদ বা অর্থ পাচারের বিষয়ে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ কোনো তথ্য দিয়েছিল কিনা সে বিষয়টি ইডি সূত্র নিশ্চিত করেনি।

এই অভিযানের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমিও সংবাদমাধ্যম থেকে এই বিষয়ে খবর পেয়েছি৷ বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনও আমার জানা নেই।’

সুকুমার মৃধা বা পি কে হালদারের পশ্চিমবঙ্গে অবৈধ সম্পত্তির বিষয়ে দুদক বা বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বাহিনীর পক্ষ থেকে ভারতের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল কিনা তা তিনি নিশ্চিত করে বলতে পারেননি। তবে ‘মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসেসমেন্টের’ মাধ্যমে সহায়তা চাওয়ার সুযোগ আছে বলে তিনি জানান।

পি কে হালদার বা সুকুমার মৃধা বাংলাদেশ থেকে ভারতে অর্থ পাচার করলে সেটি ফেরত আনা সম্ভব হবে বলেও মনে করেন তিনি। দুদকের আইনজীবী বলেন, ভারতের কর্তৃপক্ষ যদি নিশ্চিত করে এই অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে, তাহলে আদালতের মাধ্যমে আমরা সেটা জব্দ করতে পারবো।’

৪২৬ কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ছয় হাজার ৮০ কোটি টাকা লেনদেনের মামলায় পলাতক পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা রয়েছে। ‘অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের’ এই মামলায় গত বছরের জানুয়ারিতে পি কে হালদারের ব্যক্তিগত আইনজীবী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে গ্রেফতার করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সে সময় দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, ‘পি কে হালদার বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পর তার অবৈধ সম্পদ দেখাশোনা করতেন সুকুমার ও অনিন্দতা মৃধা। পিকে হালদারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানও করেন সুকুমার মৃধা।’

দুদক সচিব মুহা. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, পি কে হালদার ভুয়া ঋণ দেখিয়ে অবৈধভাবে অর্জিত প্রায় ১০০ কোটি টাকা তার মা লিলাবতী হালদারের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখেন। পরে লিলাবতী হালদারের ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুমার মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও অনিন্দিতা মৃধার মাধ্যমে আবার পি কে হালদারের কাছে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করা হয়। এভাবে তারা মানিলন্ডারিং করেছেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য পেয়েছেন।’

দুদক সুকুমার মৃধার প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পদ এবং তার মেয়ে অনিন্দিতার প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পেয়েছে, যা পি কে হালদারের অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, সুকুমার মৃধা পিকে হালদারের আয়কর আইনজীবী ছিলেন। পি কে হালদার ও তার মেয়ে আদালতের কাছে তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন।

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি