শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

সরকারি জরুরি হটলাইন

সরকারি তথ্য ও সেবা-৩৩৩, জরুরি সেবা-৯৯৯, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে-১০৯, দুদক-১০৬, দুর্যোগের আগাম বার্তা-১০৯০, শিশুর সহায়তায় ফোন-১০৯৮, ভূমির সেবা পেতে...অভিযোগ জানাতে-১৬১২২, ই-জিপি জরুরি হেল্পলাইন-১৬৫৭৫, নৌপরিবহনের হেল্পলাইন-১৬১১৩। তথ্য সুত্র : পিআইডি

শিরোনাম
মানুষ এখন শখ করে পান্তা ভাত খায় : খাদ্যমন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হই, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং ও মাদকমুক্ত রই’ জয়পুরহাটে সমবায়ীদের তোপের মুখে যুগ্মনিবন্ধক ডিএমপি কমিশনার হলেন অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় বৈশ্বিক সহায়তা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা ‘হু’ প্রধানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন কাউন্সিলর ডেরেক শোলের সাক্ষাৎ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কেবল শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব : সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অর্থ আত্নসাৎ, দুই বছর বেতন বাড়বে না সমাজসেবা কর্মকর্তার

ঈদের ৪ দিনে বৌদ্ধবিহার পাহাড়পুর থেকে আয় ১৩ লাখ টাকা

যমুনা নিউজ বিডিঃ ঈদের ৪দিনে নওগাঁর বিশ্ব ঐতিহ্য দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে (সোমপুর বিহার) টিকিট বিক্রি থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকার উদ্ধে। আর লক্ষাধিক পর্যটকরা ভ্রমণ করেছে এই পাহাড়পুর।  মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকট কেটে প্রায় দীর্ঘ দুই বছর পর আবারো নতুন করে পর্যটকদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গন। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকসহ দেশের বিশিষ্টজনরা এই ঈদে পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ভ্রমণ করেছেন।

এছাড়া ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে চালু হওয়া ট্যুরিস্ট বাস ভ্রমণ বিলাস নওগাঁর ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে পর্যটকদের মাঝে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।  সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিহার এই পাহাড়পুর। এর আদি নাম সোমপুর বিহার। এটি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এটি মূলত পাল রাজ্যত্বের রাজধানী ও সেই সময়ের বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো। এখানে সে সময় ভিক্ষুরা পড়ালেখা করতো।  নওগাঁ শহর থেকে পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের দূরত্ব প্রায় ৩৪কিলোমিটার। এখানে সারা বছর দেশ ও বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীদের সমাগম ঘটে। তবে দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ঘরে বন্দি থাকায় এই ঈদে খোলা পেয়ে লক্ষাধিক দর্শনাথীরা পাহাড়পুরে আসছেন। বিগত সময়ের তুলনায় এই ঈদে দর্শানার্থীদের আগমন রের্কড পরিমান। আগের চেয়ে অনেক আধুনিকায়ন হওয়ায় পাহাড়পুরের পরিবেশ নিয়েও সন্তোষ দর্শনার্থীরা। শনিবার সরকারী ছুটির দিন পর্যন্ত দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে বলে আশা  করছেন কর্তৃপক্ষ।

বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, সত্যিই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ও তার পরিবেশ খুবই সুন্দর। তবে এখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের খুবই সমস্যা। কিন্তু আজকের দিনে এমন ঐতিহাসিক স্থানে এমন সমস্যা সত্যিই খুবই দু:খ্যজনক। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। আমি এখানে এই প্রথম আসলাম। হাজার বছর আগের কীর্ত্তি দর্শন করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আর এখানে এতা পর্যটকের সমাগম এর আগে আমি কোথাও দেখিনি।  পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টোডিয়ান মুহাম্মদ ফজলুল করিম আরজু বলেন, পাহাড়পুরের ইতিহাসে এতো রের্কড পরিমাণ দর্শক কখনোই হয়নি। আমরা সীমিত লোকজন নিয়ে আগত দর্শনার্থীদের মানসম্মত সেবা প্রদানের চেস্টা করে আসছি। এতো দর্শনাথী সামাল দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেকেই আবার বিহারের প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করছে। আমি আশাবাদি আজ শনিবার পর্যন্ত দর্শকদের উপস্থিতি থাকবে।  সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আতাউর রহমান বলেন, দেশের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোকে আরো আধুনিকায়ন করতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আগের পাহাড়পুর কি ছিলো আর এখন কেমন পরিবর্তন করা হয়েছে। অতিদ্রুত পাহাড়পুরের জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা সমাধান করে এটিকে পর্যটকদের কাছে আরো আর্কষনীয় করতে যা যা করা প্রয়োজন তা করা হবে। দেশের সকল প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো আরো আধুনিকায়ন করতে সরকারের অচিরেই সেই পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।

সংবাদ শেয়ার করুন

সতর্ক বার্তা

আমরা নিজস্ব সংবাদ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। -ইন্দোবাংলা টীম।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা

© ইন্দোবাংলা২৪.কম সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০২৩।
কারিগরি সহায়তায়: অল আইটি