বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার শাজাহানপুরে মাদক সেবনকালে কথা কাটাকাটির জেরে সঙ্গীর হাতেই খুন হয় নাপিত শফিকুল ইসলাম (৩৮)। লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মধ্যেই হত্যার রহস্য উম্মোচন করেছে পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত ২০ বছরের যুবক মাদকাসক্ত মাসুদ রানা (২০) বৃহষ্পতিবার ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবাববন্দি দিয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাসিমা বেগম বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে।
জেলা পুলিশের মিডিয়া উইং সুত্রে জানা গেছে, শাকপালা গোয়ালগাড়ী গ্রামের মৃত বাচ্চু সরকারের পুত্র শফিকুল ইসলাম গত ৯ জুন সোমবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে শাকপালা মোড়ে তার নিজ সেলুনে কাজ করতে যায়। কাজ শেষে রাতে বাড়ি না ফিরে শাকপালা বন্দরের পাশে মুন্সিপাড়া বাঁশবাগানে মাদকসেবনের জন্য যায়। সেখানে গিয়ে ওই এলাকার মৃত আজিমুদ্দিনের পুত্র মাসুদ রানার সাথে মাদক সেবন শুরু করে। সেবনকালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাত ২ টার দিকে মাসুদ রানা উত্তেজিত হয়ে তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে শফিকুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে। এতে শফিকুল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। মৃত্য নিশ্চিত করতে মাসুদ তার মাদক সেবনের সঙ্গী শফিকুলের গলাকেটে ফেলে। এরপর বাগানের পাশে ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে মৃতদেহ ঢেকে রাখে মাসুদ।
উল্লেখ্য, নিখোঁজের ২ দিন পর শাকপালা মুন্সিপাড়া বাগানের পাশে থাকা ডোবা থেকে বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার সময় শফিকুলের লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। বগুড়া ডিবি পুলিশ, শাজাহানপুর থানা পুলিশ ও কৈগাড়ী ফাঁড়ি পুলিশের প্রচেষ্টায় লাশ উদ্ধারের দুই ঘন্টার মধ্যেই তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যায় সন্দেহে মাসুদ রানা ও নিহতের শ্যালক সুমন আটক হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ রানা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। সুমনের হত্যায় সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৈগাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সৈকত হাসান জানান, হত্যার সাথে জড়িত মাসুদ রানাকে গতকাল বৃহষ্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়। বিজ্ঞ আদালত ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি জবাববন্দি গ্রহণ করে আসামীকে জেল হাজতে পাঠায়। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।