বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:৩২ অপরাহ্ন
ওবায়দুল ইসলাম রতনের বাড়ি জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার উপর শিয়ালা গ্রামে। পরিবার ও এলাকার লোকজন বলেছেন, রতন মানসিক রোগী। তবে সৎ ও পরোপকারী। চার ভাইবোনের মধ্যে রতন তৃতীয় সন্তান।
জানা গেছে, রতনের মা মাহমুদা বেগম রায়কালী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওর্য়াডের সদস্য ছিলেন। তাঁর তৃতীয় ছেলে রতন নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। এরপর দিনাজপুরের ফুলবাড়ি এলাকায় একটি মাইক্রোবাস গ্যারেজ মেকানিক কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে রাজশাহীতে চলে যান। সেখানে একটি গ্যারেজে কাজ করেন। মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসেন। পাঁচ বছর আগে বাড়ি এসে তিনি মুসকিল লীগের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে পোষ্টার ছাপিয়ে আনেন। এখনো সেই পোষ্টারগুলো বাড়িতে তার মা মাহমুদা বেগম সংরক্ষণ করে করেছেন। সম্প্রতি মুসকিল লীগ দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার পর আলোচনায় আসেন রতন।
রতনের মা বলেন, আমার এক মেয়েকে পাশের চিয়ারীগ্রামে বিয়ে দিয়েছিলাম। আমার মেয়ে এক কন্যা সন্তান জম্ম নেয়। তিন মাসের নাতনিকে নিয়ে আমার মেয়ের চলে আসে। তখন রতন তার বোনের সঙ্গে তিন মাসের ভাগনিকে দেখে মুসকিল বলে। তখন রতন তার ভাগনির নামও মুসকিল রাখে। একারণে দলের নাম মুসকিল লীগ রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের দিকে রতন ভোটে দাঁড়াবে বলে পোষ্টার ছাপিয়ে আনে। তখন আমি তাকে কিছুদিন শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলাম। সম্প্রতি সে আবারও দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে।
রতনের বড় ভাই এনামুল হক বলেন, রতন মানসিক রোগী। তবে কেউ তার কথার্বাতায় সেটি বুঝতে পারবে না। রতন নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার পর মাইক্রোবাসের মেকারি করে। রতন এখন রাজশাহীতে থাকে। মাঝে মধ্যে বাড়িতে এসে দু একদিন থেকে আবার চলে যায়। অনেক আগে থেকেই মুসকিল লীগ নামে পোষ্টার ছাপাতো। মুসকিল লীগ নামে দলের নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে বলে জেনেছি।
প্রতিবেশি নুরুল ইসলাম বলেন, রতন একটা পাগল। সে গ্রামে থাকে না। সে মুসকিল লীগ নামে একটি দলের নিবন্ধনের আবেদন করেছে। রতনের খোঁজে লোকজন গ্রামে আসছে।
ওবায়দুল ইসলাম রতনের বলেন, দেশের পরিস্থিতির কথা ভেবে আমি কোন ব্যানার টাঙ্গায়নি। তাছাড়া সারাদেশে আমার ভক্ত রয়েছে। ব্যানার টাঙানোর পর কোন ঘটনা ঘটলে এটি আমার ও আমার কর্মীদের উপর চাপ পড়বে। আমি নিবন্ধন পেলে নির্বাচনে পাস করবো।
তিনি বলেন, আমি মেকারির কাজ করার সময় বিভিন্নজন কাজ দিতো। সেসব কাজ বেশ মুসকিল হতো। আর এ থেকেই মুসকিল নামটা মাথায় ঘুরতো। তাছাড়া আমার ভাগ্নির নামও মুসকিল রেখেছি। তাই এবার মুসকিল লীগ নামের দালের নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছি।
ইন্দোবাংলা/এম. আর