শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন
চলতে থাকে অমানুষিক নির্যাতন প্রতিনিয়ত। এরপর ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাতে রিয়াজ, নাহিদ সুলতানা, রিয়াজ এর বাবা কাজী মিজানুর রহমান, মা বদরুন্নেসা মায়া, রিয়াজের মামাতো বোন শাম্মী ও তার স্বামী বাজরুল রাহমান সুমন মিলে হত্যার চেষ্টা করে। মেঘলা চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে পরদিন ১৮ ডিসেম্বর ২০২০ চরিত্রহীন অপবাদ দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। এতপর মেঘলা বা-মায়ের পরিবার আশ্রয় নেয়। অসহায় মেঘলার কাছে নাহিদ এর দেহ ব্যবসা ও রিয়াজ এর মাদক ব্যবসার প্রমান আছে পরবর্তী সময়ে ৩ বার গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেন আদাবর থানায় জিডি এবং সিএমএম আদালতে কোর্টে “হত্যা চেষ্টা মামলা ৩০২/৩৪ ধারা চলমান।
এছাড়াও ১৯৮৫ সালের মুসলিম পরিবারিক আদালত আইনের ৫ (গ), ৫ (ঘ) বিধান মতে বাদিনীর পাওনা কৃত দেনমোহর ও খোরপোষ আদায় নালিশ, নারী নির্যাতন দমনের আইনে ১১ (গ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (গ) ধারায়। এবং যৌতুক ৪ ধারায় মামলা চলমান আছে। এমতাবস্থায় যেহেতু রিয়াজ এর বোন নাহিদ সুলতানা ২০১৭ সালে মিজান মালয়েশিয়ান পামওয়েল সেরা রন্ধন শিল্পী নির্বাচিত হয় এবং পেশাদার দেহব্যবসার সাথে যুক্ত ও নানারকম উচ্চ ক্ষমতা সম্পুর্ন মানুষের সাথে মিশে এবং মাদক ব্যবসায়ী সেহেতু তারা ক্ষমতা ব্যবহার করে জামিনে আসে। তাই মেঘলার মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই বোন নাইট সুলতানা তার ক্ষমতার বলে বিয়ে দিচ্ছেন আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আরেকটি মেয়ের সাথে আনুষ্ঠানিক বিয়ের আয়োজন করছে। সরকারের উর্ধতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কাছে মেঘলার আবেদন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার আগেই যেন প্রশাসন এই বিয়ে বন্ধ করেন। মেঘলার মহামূল্যবান সার্টিফিকেট, স্বর্ণ,আসবাবপত্র আটকে রেখেছেন। বহুগামী রিয়াজ কে সংশোধনের চেষ্টা করলে মেরে ফেলার চেষ্টা বহুবার করেছে। বখাটে মাদকসেবী রিয়াজের বোন নাহিদ সুলতানা সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়।
নাহিদ ছোট বেলা থেকেই বহুগামী নারী ছিলেন, প্রাইমারি স্কুলে পড়ার সময় জাহাঙ্গীর নামে এক ছাএ কে নিয়ে স্কুলের ক্লাস রুমে ধরা পরে যা তার নানা বাড়ি মাদারীপুর এর গোপালপুর এর লোক জন জানেন। সোহেল নামে এক ছেলেকে নিয়া বাড়ির মধ্যে ধরা পরে তারপর মাদারীপুরের গোপালপুর বাড়িতে তাকে তালা মেরে রাখতে হতো কারন তার প্রেমিক এর সংখ্যা অনেক এবং এগুলা দাবি বিয়ে না করলে তুলে নিয়ে যাবে।
নাহিদ সুলতানার এই অবস্থা দেখে তার বাবা মা বিয়ে দিয়ে দেন এবং উনি জামাইকে নিয়া কিছু দিন গ্রাম এ থাকার পর চলে আসেন ঢাকা শহরে, পড়া লেখা আবার শুরু করেন এর মধ্যে উনার প্রথম সন্তান হয় শশুর বাড়ি কেউ তাকে তেমন পছন্দ করে না, তার এসব কেলেঙ্কারির জন্য, জামাই সারাদিন চাকরির পিছনে দৌড়াতো আর তিনি ছেলে বন্ধু নিয়া আড্ডা দিতেন। এরপর শুরু করলো রান্না জগৎ, এবং শুরু হলো তার বিলাশ বহুল জীবন, মিজান মালেশিয়ান পাম অয়েল সেরা রাঁধুনি ২০১৭ চাম্পিয়ান হওয়ার সুবাদে আবারও শুরু করলো দেহে ব্যবসা। -সুত্র: দৈনিক আলোকিত পত্রিকা।
ইন্দোবাংলা/এম. আর