বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
গত কয়েক দিনের বিভিন্ন পত্র পত্রিকা থেকে জানা যায়, মাইজুদ্দিন গত ০১/১২/২০২১ ইং তারিখ ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে চুক্তি করে নগদ ৫ লাখ টাকার চেক আনোয়ার হোসেন ওরফে শেফ সাইমন এর হাতে তুলে দেয়। উল্লেখ স্ট্যাম্প তৈরির সময় পরিকল্পিত ভাবে সায়মন তার বিবরণীতে মোঃ আনোয়ার হোসেন সায়মন খাঁন, পিতা শহিদুল ইসলাম খাঁন, মাতা রেনুয়ারা বেগম ও এনআইডি নাম্বার ১৮……………২৪ লিখে যা সায়মন এর মোবাইল ০১৮…………..৪ নম্বর । তার সঠিক এনআইডি কার্ড যাচাইয়ের পর দেখা যায়, আনোয়ার হোসেন পিতা- শহিদুল ইসলাম, মাতা- রেনুয়ারা বেগম, এনআইডি নাম্বার ১৯…………..০৯। নিঃসন্দেহে এটি প্রতারনার সামিল।
প্রতারক সায়মন যেখানে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা করে লাভ দেয়ার কথা, সেখানে গত ৯ মাসে কোনো লাভ দেয়নি। এমতাবস্থায় লাভের পরিমান দাঁড়ায় মোট টাকাসহ ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ভুক্তভোগী যেহেতু বিটিইএ এর সদস্য, সেহেতু গত রোজার মাসে তার একজন পরিচিত ব্যক্তিকে দিয়ে সায়মনকে ফোন করলে সে তালবাহানা করে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। গত ২০ আগস্ট জানায়, সে কোনো টাকা দিবেনা। কারণ হলো সে কৌশলে স্ট্যাম্পে জালিয়াতী করেছে। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে গ্রীনরোডে রাস্তার মাঝে এক মহিলা সায়মনের গালে মুখে থাপ্পড় চড়িয়েছে।
গত ২১ আগস্ট বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য শেফ ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী ও সেক্রেটারী জেনারেল জহির খানের অনুরোধে ভুক্তভোগী শেফ ফেডারেশন এর অফিসে গেলে তারা এক সপ্তাহ সময় নেয়। এরপর মোহাম্মদ আলী ও জহির খান এর অনুরোধে ভুক্তভোগী রিমঝিম ও তার স্বামী আবারও শেফ ফেডারেশন এর অফিসে গেলে সায়মন তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ঘটনার পুরো রেকর্ডিং ভুক্তভোগীর কাছে সংরক্ষিত আছে। এই ঘটনার আলোকে শেফ ফেডারেশন এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলী ও সেক্রেটারি জহির খানও ভুক্তভোগীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রতারক সায়মন খান কখনো হোটেল গিভেন্সি ( বাবুল টাওয়ার) এর মালিক বাবুলের ভয় দেখায়। আবার কখনো বাবুলের ছেলে ফরহাদের ভয় দেখায়। আবার কখনো কখনো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তার মামা হয় বলে হুমকি দেয়। প্রতারক সায়মন সম্পর্কে জানতে গিয়ে নানান রকম প্রতারণার চিত্র উঠে আসে। রন্ধন শিল্পী মৌসুমি আলম অনেক আগে প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা লাভ দেয়ার কথা বলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দেয় যা আজও ফেরত দেয়নি। বিগত দিনে ইতালির বুলুনিয়া শহরে থাকাকালীন বেশ কয়েকজন প্রবাসীর কাছ থেকে বিদেশ নেয়ার কথা বলে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ইতালির বিলুনিয়া শহর ছেড়েছে। সে সময় লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের কাছে কোনো ডকুমেন্টস না থাকায় তারা মামলা করতে পারেনি।
এবিষয়ে মামলার বাদী মাইজুদ্দিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বেশ কিছুদিন নানা মহলের কাছে জানিয়েছি কিন্তু কোন সমাধান না হওয়ার আদালত দারস্থ হয়েছি আদালত যা রায় দেয় আমি মেনে নিবো।